আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  বিফলে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমস্ত প্রচেষ্টা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানিই হচ্ছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ভারতীয় চিত্রপরিচালক মীরা নায়ারের সন্তান। মামদানি যাতে নিউ ইয়র্কের মেয়রের পদে না বসতে পারেন তার জন্য জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছেন ট্রাম্প।  তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

ট্রাম্পের রিপাবলিকান শিবির থেকে মামদানির বিপরীতে প্রার্থী হয়েছিলেন কুর্টিস স্লিওয়া। এই নির্বাচনে জেতা তো দূর মামদানির ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেননি তিনি। সূত্রের খবর, নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে  ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন মামদানি । অন্যদিকে  ১০ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছেন স্লিওয়া। প্রায় ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো। ৩৪ বছর বয়সী স্বঘোষিত গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তি যিনি ট্রাম্পের  লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। এমনকি ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, জোহরান যদি মেয়র হয় তাহলে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি অনুদান বন্ধ করে দেবেন। তবে এই হুমকি কাজে দিল না। মামদানি নিউ ইয়র্কের মেয়র হিসাবে শপথ নেবেন আগামী ১ জানুয়ারি। গত ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে নিউ ইয়র্কের কনিষ্ঠতম মেয়র হবেন ৩৪ বছর বয়সি এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। নিউ ইয়র্কের প্রথম ইসলাম ধর্মাবলম্বী মেয়র হবেন তিনিই। 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে দিনটি ডেমোক্র্যাটদের জন্য ভালোভাবে শুরু হয়। ভার্জিনিয়ায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, যেখানে ডেমোক্র্যাট অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গার ভার্জিনিয়ার প্রথম মহিলা গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাট কোরি ও'কনর পিটসবার্গের মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন। ও'কনর রিপাবলিকান মনোনীত টনি মোরেনোকে পরাজিত করেছেন।  

এই ফলাফল আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং তার পরেও প্রতিধ্বনিত হবে। ডেমোক্র্যাটরা আশা করছেন যে এই বিজয় দলটিকে ২০২৬ সালে হাউসের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য শক্তি জোগাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরিবর্তন ট্রাম্পের বাকি মেয়াদের জন্য তার এজেন্ডাকে হুমকির মুখে ফেলবে, যেখানে অভিবাসন, স্বাস্থ্যসেবা এবং জাতির ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা নিয়ে গভীর দলীয় বিভাজন রয়েছে।