নিজস্ব প্রতিনিধি: সারদার নথি গায়েব হওয়া মামলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তে এবার আরও তৎপরতা বাড়াচ্ছে কাঁথি পুলিশ। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে (Sudipta Sen) এই মামলায় এবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কাঁথি পুলিশের তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, রবিবার কাঁথি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা কলকাতায় এসে সুদীপ্ত সেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ওইদিন প্রেসিডেন্সি জেলে এসে সারদা কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তাঁরা। সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা দায়রা আদালত কাঁথি থানাকে অনুমতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি সারদা চিটফাণ্ডের তহবিল থেকে শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিয়েছেন বলে আগেই দাবি করেছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, বহুতল নির্মাণের জন্য কাঁথি পুরসভায় ৫০ লাখ টাকা জমা করেছিলেন তিনি। লেবার হাট তৈরি করার জন্য কয়েক লাখ টাকা খরচ করেছিলেন বলেও জানান সুদীপ্ত সেন। এরপরও বহুতলের প্ল্যান পাশ করাননি শুভেন্দু অধিকারী। সুদীপ্ত সেনের দাবি, ‘শুভেন্দু অধিকারী অনেকভাবে টাকা তুলেছে। কন্টাইতে (কাঁথি) আমাদের একটা হাইরাইজ (বহুতল) করার জন্য কাঁথি পুরসভায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা করেছিলাম। সমস্ত কাজকর্ম করালেন। লেবার হাটের কাজ যখন শেষ করলাম তারপরেও তিনি আমাদের প্ল্যান পাশ করাননি।’ সারদা কর্তার আরও দাবি, ‘আগেও ৯০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কন্টাই পুরসভায় টাকা জমা করেছিলাম।’ এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও টাকা নিয়েছিলেন অভিযোগ করেন সুদীপ্ত সেন।
অন্যদিকে সারদার সেই সব প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও ফাইল পুরসভায় এখন নেই বলে জানান কাঁথি পুরসভার (Contai Municipality) বর্তমান পুরপ্রধান সুবল মান্না। তাঁর অভিযোগ, সারদার প্ল্যান পাশ করানোর জন্য সৌমেন্দুর আমলে পুরসভা টাকা নিয়েছিল, অথচ সেই সংক্রান্ত কোনও নথিই পুরসভায় নেই। সারদার ওই ফাইল পুরসভায় না খুঁজে পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সুবল মান্না কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে কাঁথি পুরসভার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চুয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সারদা মামলায় পুলিশের এই তৎপরতা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।