নিজস্ব প্রতিনিধি: বসন্তের আগেই কোকিলকণ্ঠীর প্রয়াণে শোকস্তদ্ধ গোটা দেশ। কার্যত সঙ্গীত জগতের অভিভাবকের প্রয়াণে মন খারাপ সুর সাধকদের। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছে গোটা দেশের মানুষ। এবার কিন্নরকণ্ঠীকে বিশেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করবে বইমেল কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে কলকাতা বইমেলা। করোনা কাঁটাকে সরিয়ে চলতি মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হবে বইমেলা। যার জন্য রবিবার করুণাময়ীতে সেন্ট্রাল পার্ক প্রাঙ্গন ঘুরে গেলেন আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
এদিন গিল্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারের বইমেলাতে বিশেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরকে। এই বিষয়ে ত্রিদিব চট্ট্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এই বইমেলায় একটি বিশেষ প্যাভিলিয়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ১৬ জন স্বনামধন্য… দিলীপ কুমার, লতা মঙ্গেশকররা তো রয়েছেনই, এছাড়া আমাদের বুদ্ধদেব গুহ, বিরজু মহারাজ… বাদ কেউ নেই। শঙ্খ ঘোষ চলে গিয়েছেন। এই পুরো একটা মৃত্যু মিছিল গত দেড় বছর ধরে রয়েছে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর জন্য আমরা একটি প্যাভেলিয়ন করছি। সেখানে লতা মঙ্গেশকরকেও যুক্ত করা হবে।’
যেহেতু করোনার জন্য গতবছরে অনুষ্ঠিত হয়নি কলকাতা বইমেলা, তাই বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে শ্রদ্ধা জানানো হবে এবারের বইমেলাতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ৫০ বছর পূর্তিকে সম্মান জানাতে চলতি বছরে কলকাতা বইমেলার থিম বাংলাদেশ। বইমেলার আয়োজন প্রসঙ্গে ত্রিদিব চট্ট্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা আজ সেই জন্যই এসেছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমাদের সঙ্গে একঝাঁক তরুণ প্রজন্ম, যাঁরা প্রকাশনায় রয়েছেন, তাঁরা সবাই এসেছেন। আমাদের আর্কিটেক্ট রয়েছেন, আমাদের সহযোগী বন্ধুরা রয়েছেন। আমরা সবাই এসেছি। আমরা খুব উত্তেজিত যে এক বছর পরে আমরা আবার এই মাঠে এসেছি, এই মাঠের গন্ধ পাচ্ছি এবং এই চ্যালেঞ্জটা আমরা গ্রহণ করেছি। সব ব্যাপারটা আজকে বলার জন্য নয়। আমরা সময়ে সময়ে আপনাদের কাছে আসব। আগামী ১০ তারিখ আমাদের একটি সাংবাদিক বৈঠক রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও আসছেন। শুধু এটুকু বলতে পারি, ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন করে কলকাতা বইমেলার জয়যাত্রা শুরু হবে।’