নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গিয়েছিল ২ বছরের প্রতিমা হালদারের তলপেট। সঙ্গে ছিল পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। আর প্রস্রাবের সমস্যা। মেয়ের এমন অবস্থা দেখে চিন্তায় ঘুম ছুটেছিল পরিবারের। নিম্নবিত্ত পরিবারটির মেয়ের বেসরকারি নার্র্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা খরচ করার সামর্থ্য ছিল না। অবশেষে এসএসকেএম হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন তাঁরা। আর রাজ্যের এই সরকারি সেরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সফল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল শিশুর। অস্ত্রোপচারের পর পেট থেকে বেরল দুটি বলের মত টিউমার।
জানা গিয়েছে, আনন্দপুর থানার চৌবাগা এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা। শিশুটির মূত্রথলির পেছনে দুটি টিউমার ছিল। যার জেরে প্রস্রাব হত ফোঁটা ফোঁটা। আর পেটে হত অসহ্য যন্ত্রণা। স্থানীয় নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হলে অস্ত্রোপচারের জন্য যে খরচ চাওয়া হয় তা ওই পরিবারটির নাগালের বাইরে ছিল। এর পর এসএসকেএম হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে যান তাঁরা চিকিৎসার জন্য। সেখানে ইউনিট ওয়ান সার্জারি বিভাগের দক্ষতাতেই নতুন জীবন পেল শিশুটি।শিশু শল্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রুচিরেন্দু সরকার এই অস্ত্রোপচারের বিষয়ে জানান, এসএসকেএমে যখন মেয়েটিকে নিয়ে আসা হয় তখন তার তলপেটটা মারাত্মক রকম ফুলে ছিল। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচারের পরে ২ বছরের ওই শিশুটির পেট থেকে ২টি টিউমার বের করা হয়েছে।
প্রতিমা হালদারের মা জ্যোৎস্না হালদার এই বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছেন, গত আড়াই-তিন বছর ধরেই ক্রমশ ফুলে শক্ত হচ্ছিল মেয়ের তলপেট। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সিটি স্ক্যান করে দেখা যায় মূত্রথলির পিছনে দুটি টিউমারের একটা ১৫ সেন্টিমিটার বড়। ডা. রুচিরেন্দু সরকারের নেতৃত্বে ডা. শিবশঙ্কর মিত্র, ডা. অভিজিৎ বর্মন, ডা. সপ্তর্ষি পোদ্দার অস্ত্রোপচার করেন। আপাতত বায়োপসি রিপোর্টের অপেক্ষাতেই রয়েছেন চিকিৎসকরা।