নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কথায় বলে, ‘লোভে পাপ, আর পাপে মৃত্যু।’ আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়া বাংলাদেশের প্রাক্তন অলরাউন্ডার নাসির হোসের ক্ষেত্রে আপ্তবাক্যটি ধ্রুব সত্যি হয়ে দাঁড়াল। ২০২১ সালে আবুধাবিতে টি টেন লিগ খেলতে গিয়ে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার হিসাবে সামান্য আই ফোন নিয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। আর ওই ফোন নেওয়ার কারণেই নিজের কেরিয়ার কার্যত ধ্বংসের মুখে এনে দাঁড় করালেন নাসির।
২০১১ সালে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল নাসিরের। তার পর থেকে টানা ২০১৮ সাল পর্যন্ত টাইগারদের হয়ে ২২ গজ কাঁপিয়েছেন। ১১৫ ম্যাচে ২,৬৯৫ রান করার পাশাপাশি বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ যাওয়ার পরে চুটিয়ে দেশ-বিদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলছিলেন নাসির। কিন্তু বিপত্তি ঘটল ২০২১ সালে। বরাবরই মোবাইল ফোনের ভীষণ ভক্ত বাংলাদেশের অন্যতম অলরাউন্ডার। টি টেন লেগ খেলতে গিয়ে এক অজানা ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার হিসাবে নিয়েছিলেন আইফোন-১২ মডেলের নতুন মোবাইল ফোন। যার দাম ছিল ৭৫০ মার্কিন ডলার। ওই ফোন উপহার পাওয়ার বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ফলে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে নাসিরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আইসিসি’র দুর্নীতি দমন শাখা। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল নাসিরকে। বিপিএলের ড্রাফটেও তার নাম রাখা হয়নি। আর মঙ্গলবার দুর্নীতির দায়ে ৩২ বছর বয়সী বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে চরম শাস্তি ঘোষণা করল আইসিসি। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সব ধরনের ক্রিকেটে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকবেন নাসির। তবে ছয় মাস তাঁর শাস্তির সাজা স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন না।