17ºc, Mist
Thursday, 2nd February, 2023 3:18 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: কালু রাই। বয়স ৫৫ বছর। মধ্যপ্রদেশের জইশিনগরে রাস্তার ধারে দোকান তৈরি করে চা বিক্রি করতেন। লকডাউন জারি হওয়ার দোকান বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। টানা দুই বছর বন্ধ ছিল দোকান। পরে রাস্তা চওড়া করা হবে বলে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয় দোকান। পর পর দুটি ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে শেষে আত্মহত্যা। যেখানে তার চায়ের দোকান ছিল সেখানে একটি গাছের মোটা ডালে দড়ি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। রবিবার সকালে এলাকার মানুষ দেখে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখানে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোট, যেখানে লেখা তাঁর আর্থিক দৈন্যদশার কথা।
নোটে সে লিখেছে, করোনা মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় সরকার জারি করেছিল লকডাউন। সেই সময় চরম অর্থ সংকটে পড়তে হয়েছিল। ঘরে জমানো সঞ্চয় ভাঙিয়ে চলছিল পরিবার। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সরকার লকডাউন তুলে নিলে আবার দোকান আগের মতো সাজিয়ে সে চা বিক্রি করতে শুরু করে। আশা ছিল জমানো টাকা থেকে খরচ করা অর্থ চা বিক্রি করে তা পুষিয়ে দেবে। ছুটির দিনে দোকান খোলা থাকত। বাবাকে সাহায্য করত এক ছেলে। কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশ সরকার বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানে কালুর প্রিয় দোকানটিও ভাঙা পড়ে। ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন মৃতের চোখ খুবলে খেল ইঁদুরের দল