আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হাইভোল্টেজ ম্যাচে ফিল্ডিং হওয়া দরকার আঁটোসাঁটো। বিশেষ করে একদিনের ম্যাচে। কমরানেও প্রতিপক্ষের সঙ্গে লডা়ই করা যায় যদি ফিল্ডিং ঠিকঠাক থাকে। কোথায় কি?
জঘন্য বললে কম বলা হয়। অতি জঘন্য শব্দটাও ভারতের এদিনের ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে খাপ খায় না। কুৎসিত শব্দটা এখানে কিছুটা হলেও যুতসই। বাউন্ডারি থেকে উইকেট কিপার বা বোলারের হাতে বল পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ফিল্ডারের। ফিল্ডার সেই বল পাঠালেন বটে। আর বল ধরতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে দশা। ততক্ষণে ব্যাটসম্যান কয়েকটি সিঙ্গল রান নিয়ে নিয়েছেন।
এমনই এক কুৎসিত ফিল্ডিং করে দেখালেন মহম্মদ সামি, হার্দিক পাণ্ড্যর নবম ওভারে। শামি ছিলেন ডিপ ফাইন লেগে। ব্যাটিং করবেন জোস বাটলার। বাটলার ব্যাট ঘুরিয়ে পাঠান ডিপ ফাইন লেগে। সেখান থেকে সামি বল ধরে ছুঁড়লেন। বল উইকেট কিপারের মাথার ওপর দিয়ে চলে গেল ওপর প্রান্তে বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ভুবনেশ্বর কুমারের কাছে। শামির এ হেন ফিল্ডিংয়ে মাঠের মধ্যেই এক রাশ বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল রোহিত শর্মা এবং হার্দিক পাণ্ড্যকে। রোহিতকে দেখা গেল শামিকে ইশারায় বুঝিয়ে দিতে যে ভাই বলটা ঠিকঠাক থ্রো কর। সেই সতর্কবার্তার পরেও সামির মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা গেল না। একে কম রান, তার ওপর কুৎসিত ফিল্ডিং। ফলে, ভারতের পরাজয় আটকায় কে? ম্যাচের শেষে ফলাফল, ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেট হারল ভারত।