নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁর হাত ধরেই ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে কাতারে বিশ্বকাপ জিতেছিল নীল-সাদা জার্সিধারীরা। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বেও ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে মাঠ দাপিয়েছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। মঙ্গলবার সেই লিওনেল মেসিকে ছাড়াই বলিভিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল বিশ্বকাপজয়ীরা। দলের হয়ে গোল করেছেন আলবিসেলেস্তেদের হয়ে গোল করেছেন এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো ও নিকোলাস গঞ্জালেস। ম্যাচ জয়ের পরে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে মাঠে না নামানোর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে লাপাজে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন আনহেল ডি মারিয়া-এনজো ফার্নান্ডেজরা। অধিনায়ক মেসি না থাকায় ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল নামিয়েছিলেন স্কালোনি। শুরু থেকেই বলিভিয়াকে চেপে ধরে বিশ্বকাপজয়ীরা। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন এনজো ফার্নান্ডেজ-নিকোলাস গঞ্জালেসরা। শেষ পর্যন্ত ৩১ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পায় আলবেসেন্তরা। ৩১ মিনিটে ডি মারিয়ার কাছ থেকে পাওয়া বল বলিভিয়ার জালে জড়ান এনজো ফার্নান্দেজ। আর্জেন্টাইনদের মুহুর্মুহু আক্রমণ সামাল দিতে গিয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে চাপে পড়ে যায় বলিভিয়া। ৩৮ মিনিটে আর্জেন্টিনার নিকোলাস গঞ্জালেসকে বিজ্জনকভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বলিভিয়ার রবার্তো ফার্নান্দেজ। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। ৪২ মিনিটের মাথায় ফের মারিয়ার কাছ থেকে পাওয়া পাস নিঁখুত শটে বলিভিয়ার জালে জড়ান নিকোলাস তালিয়াফিকো। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে বিশ্বকাপজয়ীরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আরও চাপ বাড়াতে থাকেন মারিয়া—এনজোরা। একাধিকবার গোলের সুযোগ পেলেও তার সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। বলিভিয়াও বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে এনেছিল। কিন্তু আর্জেন্টিনার গোল লক্ষ্য করে শট নিতে পারেনি। ৮৩ মিনিটে নিকোলাস গঞ্জালেস বলিভিয়ার কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে স্কালোনির শিষ্যরা। মেসিকে না খেলানোর কারণ জানাতে গিয়ে আর্জেন্টাইন কোচ জানিয়েছেন, ‘খেলার মতো মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না লিও। তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।’