আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে মেঘমুক্তি, এযেন একটা বড়সড় স্বস্তি। না, ১৯৯২ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও এতটা আনন্দ পায়নি পাকিস্তানের জনতা। যেটা গত রবিবার রাতে তারা পেল। কারণ, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল পাক দলকে। শুধু কি সেটা নাকি, প্রতিটা বিশ্বকাপের মঞ্চে টিম ইন্ডিয়ার কাছে বশ্যতা স্বীকার করেছিল পাকিস্তান। যেটা রীতিমতো কাঁটার মতো বিঁধেছিল পাক সমর্থকদের বুকে। হ্যাঁ, প্রতিটা মূহূর্ত যেন এর জন্য কুঁড়ে-কুঁড়ে মরতে হত তাদের।
কিন্তু ২৪ অক্টোবর ২০২১ সালটা যেন পাকিস্তানের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ, এই দিনেই বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পরাজিত থাকার তকমা ঘুচেছে পাক ক্রিকেট দলের। তাই বাবর আজম অ্যান্ড কোম্পানির এই জয়ের পর রীতিমতো জমকালো সেলিব্রেশনে মাতলেন পাকিস্তানের জনতা। যা চলল মাঝরাত পর্যন্ত। শোনা গেল গুলির শব্দও। গোটা লাহোর থেকে শুরু করে ইসলামাবাদ মেতে উঠেছে কোহলিদের হারের আনন্দ নিতে। আর নেবেন নাই বা কেন, এযেন দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। বলতে গেলে একপ্রকার শাপমুক্তি। চলল আতসবাজির রোশনাই।
এই আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী এবং ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খানও। জেতার পরই টুইট করে তিনি টুইট করে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন বাবর, শাহিনদের। তিনি লেখেন, ‘পাকিন্তানের দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে অভিনন্দন। গোটা দেশ আজ তোমাদের জন্য ভীষণভাবে গর্বিত।’ পাশাপাশি, রিজওয়ান এবং শাহিন আফ্রিদিরও আলাদা করে প্রশংসা করেন ইমরান।