নিজস্ব প্রতিনিধি: মহালয়ার ঠিক পরে পরেই গত ৮ অক্টোবর প্রতিবেশী বর্মা মুলুকে কেঁপে উঠেছিল পায়ের তলার মাটি। সেই কাঁপুনির রেশ ছড়িয়েছিল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। সেই ঘটনার স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই সোমবার বিকালে আবারও কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের মাটি। এদিন বিকেল ৪ টে নাগাদ ভূকম্পন অনুভূত হয় দার্জিলিঙের পাশাপাশি সিকিমেও। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৪। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপাল চিন সীমান্ত। দার্জিলিঙের বিস্তীর্ণ এলাকায় এদিন বিকেলে কম্পন অনুভূত হয়েছে। আচমকা এই ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মনে। ভয়ে বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। পাহাড়ে এখন প্রচুর পর্যটকও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যেও সাময়িক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের সিন্ধুপালচক জেলা। নেপালের সিসমোলজিক্যাল সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, কাঠমান্ডুর থেকে ১১৪ কিলোমিটার পূর্বে মধ্য নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার পানফুং জেলায় ভূমিকম্পের এপিসেন্টার। ওই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এদিনই পর পর দুটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে মধ্য নেপাল। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনটির তীব্রতা ছিল ৪.৭। দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ৪.৪। এরই রেশ পড়েছে উত্তরবঙ্গে। গতকালও মৃদু ভূমিকম্প হয়েছিল নেপালে। পশ্চিম নেপালের গোর্খা জেলায় ওই ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৩। আর নেপালের বুকে এই ঘন ঘন ভূমিকম্পের জেরে মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই হয়তো বড় কোনও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে চলেছে নেপাল। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও এর প্রভাব পড়বে।