নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari), বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar), বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) সহ গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বার বার দাবি তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়(PMGAY) নাকি ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্যরা বাড়ি পাননি, অযোগ্যরা বাড়ি পেয়ে বসে আছেন, বাড়ির টাকা ফুর্তি করে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সব অভিযোগের জেরে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার বাংলায় দফায় দফায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে সরজমিনে সব কিছু খতিয়ে দেখতে। সেই সঙ্গে আবাস যোজনার টাকাও আটকে দিয়েছে মোদি সরকার। কিন্তু কী হল এত সব করে! কেন্দ্রীয় পরিদর্শকের দল বাংলা থেকে দিল্লিতে ফিরে গিয়ে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তার জেরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ছোটখাট কিছু অনিয়ম বা পদ্ধতিগত ত্রুটি ছাড়া তেমন কোনও দুর্নীতির হদিশ পাননি কেন্দ্রের পাঠানো প্রতিনিধি দল। আর সেই চিঠিই এখন মুখ পোড়াচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের।
আরও পড়ুন Sundarban Master Plan নিয়ে আসছে মমতার সরকার
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় দুর্নীতি খুঁজতে দিল্লি থেকে বাংলায় যে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল উড়ে এসেছিল তাঁদের কার্যত ‘হতাশ’ হয়েই ফিরতে হয়েছে। ছোটখাট কিছু অনিয়ম বা পদ্ধতিগত ত্রুটি ছাড়া তেমন কোনও দুর্নীতির হদিশ তাঁরা পাননি, যা তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কোণঠাসা করা যায়। পরিদর্শক দল কয়েকটি জেলায় ঘুরেছে। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়েও দেখেছে। কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা সরাসরি কথা বলেছেন প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গে। তারপর তাঁদের পেশ করা রিপোর্টের ভিত্তিতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে একটি চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব। মনে করা হচ্ছিল, আবাস যোজনা রূপায়ণে তৃণমূল সরকারের ‘দুর্নীতি’ সামনে এনে রাজ্যকে ‘টাইট’ দেওয়ার ইঙ্গিত থাকবে সেখানে। কিন্তু চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে কেউ ঘুষ বা কাটমানি চেয়েছিলেন, এমন কোনও অভিযোগ কোথাও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন ৭ হাজার ১০০ কোটি ছাপিয়ে যাবে Stamp Duty
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এই চিঠির পর কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর ‘রাজনীতি’ কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। মুখে দুর্নীতির কথা বলা হলেও রাজ্যকে আবাস যোজনার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত রাখতেই এসব লোক দেখানো পদক্ষেপ বলে মনে করছে তাঁরা। এই বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের দাবি, মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে বিভিন্ন জেলায় কিছু অনিয়মের উল্লেখ করে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু যেখানে অভিযোগগুলিই ভোঁতা, সেখানে শাস্তি কাকে দেওয়া হবে? এবার কি তাহলে প্রাপ্য আটকে রাখার জন্য কেন্দ্র নতুন ফিকির খুঁজবে? এই পরিস্থিতিতে তাই রাজ্য পাল্টা কড়া চিঠি দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
