নিজস্ব প্রতিনিধি, কার্শিয়াং: উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে কার্শিয়াংয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। মূলত উত্তরবঙ্গে শিল্পায়নে জোর দিতেই মঙ্গলবারের এই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য:
আমরা যেন পলিউশন ল মেনেই বাজি বাজারগুলি করি
ছটপুজোর ছুটি আগে ৯, ১০ নভেম্বর ছিল। ওটা ১০ ও ১১ নভেম্বর করা হয়েছে
অনেকে গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে
পুলিশের গাড়ি যেন যে কেউ মিসইউস না করে, সে দিকে নজর রাখতে হবে
সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রচার বাড়াতে হবে
উত্তরবঙ্গে প্রবেশপথ ও বাহির পথে সর্বদা নজর রেখে যেতে হবে
পুলিশের নাকা চেকিং চলছে?
পাহাড়ের উন্নয়নে রোশন-অনীতদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে
পাহাড়ের সমস্যার মূলে রয়েছেন বহিরাগতরা
বাইরে থেকে এসে রাজনীতি করে চলে যাচ্ছে, দার্জিলিংকে ভেঙে দিচ্ছে
সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ হবে
পাহাড়ের পার্মানেন্ট সলিউশন হবে পাহাড়ের মানুষকে নিয়েই
তোমরা কি চাও, জিটিএ-র নির্বাচন হোক?
টি-অকশন বিল্ডিং হচ্ছে দার্জিলিংয়ে
যারা ভালো কাজ করবে তাঁদের চাকরি দিয়ে দাও
ট্যুরিজম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, এমন যুবক-তরুণীদের ইনটার্নশিপ করাও
এমপ্লয়েমেন্ট ব্যাঙ্কের ডাটা আমি দিয়ে দিচ্ছি
যারা সবে কলেজ পাশ করেছে অথবা বেকার বসে আছে, তাঁদের এমএসএমই-তে ঢোকাও
ছেলেদেরও স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে অংশগ্রহণ করাও
তাই দু’ধরনের উলই তৈরি করতে হবে
দার্জিলিংয়ে যে উলটা প্রয়োজন হয়, রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে সেই উল প্রয়োজন হয় না
কিন্তু আমাদের নিজেদের উল তৈরি করতে হবে
লুধিয়ানা থেকে আমাদের এখানে উল আছে
আইনশৃঙ্খলা পুরোটাই রাজ্যের ব্যাপার
আমি ফোর্সকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু কেন্দ্রের মতলবকে ঘৃণা করি
এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি, যাতে কোনও অসুবিধা না করে
পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে, যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর রাখতে
ছটপুজোর আগে ঘাট সাফাই, আলোর বন্দোবস্ত করতে হবে
হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটগুলো তৈরি করো
রাজ্যের যে সমস্ত শিক্ষিত যুবক-তরুণী রয়েছেন, তাঁদের আর বাইরে যেতে হবে না
প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থান হবে
সুফল বাংলার মতো পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করতে পারেন
স্থানীয় দোকান না করতে চাইলে, মোবাইল ভ্যান করতে পারেন
বাংলা ডেয়ারি নামটা ব্যবহার করে ব্লকে ব্লকে দোকান করতে পারেন
শিলিগুড়িতে প্রচুর জমি আছে, কাজে লাগাতে পারেন
এখানকার মাশরুম এত ভালো, সেটা নিয়ে কাজ করো
একইসঙ্গে দুধ, পায়েস, দই, মিষ্টি সবই করব
শীঘ্রই বাংলা ডেয়ারি করছি আমরা
বাংলার মাটি সোনা, সেটাকে কাজে লাগাতে হবে
রাজ্যে শিল্পায়নের প্রচুর সুযোগ আছে
অন্তত ১০টি বটলিং প্ল্যান্ট চালু করুন
পাহাড়ে ঝর্ণার জল কাজে লাগিয়ে বটলিং প্ল্যান্ট হতে পারে
আপনারা ব্যবসা করুন, আমি আছি আপনাদের সঙ্গে
ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে বাড়িতে সিবিআই ঢুকে যাবে, ইডি ঢুকে যাবে
পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে পানীয়জল
২০২৩ সালের মধ্যে বাংলার ১০০ শতাংশ বাড়িতে পানীয়জল পৌঁছে দেব
স্থানীয় যুবকদের কাজে লাগাতে হবে
বাংলায় ফার্মা, কৃষিজাত শিল্প তৈরির সুযোগ আছে
মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বক্তব্য:
ডাকরি ফার্মও তৈরি করছি
তাঁদের উৎপন্ন ডিম সরকারের তরফে কিনে নেওয়া হবে
মরগির চিকগুলি আমরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে বিলি করে দেব
রাজ্যজুড়ে পাঁচটি ফার্ম খোলা হবে
এখানেও প্রচুর কর্মসংস্থান হবে
তিনবছরের মধ্যে ওই পরিমাণ ডিম রাজ্যেই উৎপন্ন হবে
একটি নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে
অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা থেকে আনতে হয়
বাংলার যে চাহিদা আছে, তাতে প্রতিবছর ৩৯০ কোটি ডিম বাইরে থেকে আনতে হয়
