নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি কথা দিলে সেই কথা রাখেন। তাঁর সরকারও সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) আগেই ঘোষণা করেছিলেন, জেলার সাংবাদিকরা(District Reporters) অনেক কম বেতনে কাজ করেন। তারাও যাতে নিজেদের বাড়ি তৈরী করতে পারেন তাই তাঁদের সাহায্যের জন্য নিঃশুল্কে জমি দেবে রাজ্য সরকার। চলতি বছরে রাজ্য বিধানসভায় বাদল অধিবেশনের মাঝেই সাংবাদিক সম্মেলনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, ‘এবার থেকে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের আবাসন প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার মাত্র ১টাকার বিনিময়ে ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ দেওয়া হবে।’ এবার সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটানো শুরু করে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাংবাদিকদের আবাসনের তৈরির জন্য জমি বিতরণের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরকে প্রত্যেক জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকদের জন্য আবাসন প্রকল্পের জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় জমির সন্ধান মিলতেই তা বন্টনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করে দিল সেখানকার জেলা প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের District Information and Cultural Officer সাংবাদিকদের আবাসনের জমি দেওয়ার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন তাতে সাফ জানানো হয়েছে, মাত্র ১ টাকায় ৯৯ বছরের লিজে জমি পাবেন শুধুমাত্র ওই জেলার সাংবাদিকেরা যাদের Accreditation Card রয়েছে। আবাসনের জমি পেতে আবেদন করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে সেই Accreditation Card’র একটি প্রতিলিপি নিজেই সই সহ জেলাশাসকের কাছে জমা দিতে হবে। সেই আবেদন পত্র খতিয়ে দেখার পরই দেওয়া হবে জমি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কোনও কর্মরত সাংবাদিকের চাকরি আচমকা চলে গেলে চাকরি যাওয়া থেকে পরবর্তী দু’বছর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার। তবে সেই সুবিধা পাবেন শুধুমাত্র Accreditation Card থাকা সাংবাদিকরাই। তবে সেক্ষেত্রে কতদিন কাজ করার পর চাকরি গেলে আর্থিক সহায়তা মিলবে তার একটি মাপকাঠি রয়েছে। এছাড়া কোনও কোনও সাংবাদিক চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে তাঁর পরিবারকে এককালীন ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তাও দেয় রাজ্য সরকার।
