এই মুহূর্তে




মমতা বিরোধীদের সঙ্গে মাখামাখি, ফের দেবকে নিশানা কুণাল ঘোষের

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপারস্টার দেব বনাম তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ বহুদিন ধরেই চলছে। মাঝে তাতে যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। দাবি করেছিলেন, আর পাঁচটা অভিনেতার মতো দেবও একজন অভিনেতা, তাঁকে সুপারস্টার বলা যায়না। গুঞ্জন, তৃণমূলের সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে দেবের। তা তাঁর ছবির জন্যেই। কেননা অভিনেতার প্রযোজিত বেশিরভাগ ছবিতেই জায়গা পান মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী অভিনেতারা। যেমন রুদ্রনীল ঘোষ, মিঠুন চক্রবর্তী, সোহিনী সরকারের মতো তারকারা। যারা তৃণমূলের শত্রুদলের সমর্থক। তৃণমূলের সাংসদ হয়েও তাঁদেরকেই ছবিতে সুযোগ দিচ্ছেন দেব, এমনই দাবি তুলেছিলেন কুণাল ঘোষের মতো একাধিক তৃণমূল নেতারা। সম্প্রতি নিজের আসন্ন ছবি ‘কর্পূর’-এর ডাবিং শেষ করেছেন কুণাল ঘোষ। এদিন প্রথম ডাবিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েই কুণাল ঘোষ জানালেন, অভিনয়ের থেকেও ডাবিং কঠিন কাজ। যদিও তিনি উভয় ক্ষেত্রেই নতুন। তবে ডাবিংয়ের আগে প্র্যাক্টিস করা উচিত। যদিও এবারে তাঁর কোনও অসুবিধা হয়নি। কেননা পরিচালক এবং অন্যান্য কলাকুশলীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডাবিংয়ের সময়। তবে ডাবিং করতে গিয়ে একটা ঘটনা ঘটেছিল তার সঙ্গে। ডাবিংয়ের অন্য একটি ঘরে মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন। তিনিও ডাবিংয়ে ছিলেন।

কিন্তু মজার বিষয় হল, তিনি কুণালের উপস্থিতি টের পেয়েই নিজেকে ডাবিংয়ের ঘরে আটকে রেখে ছিলেন। লাউঞ্জে খেতেও যাননি। তবে মিঠুন চক্রবর্তীর একই দিনে ডাবিং ছিল, সেটা আগে থেকেই জানতেন কুণাল ঘোষ, তবুও তিনি ডেট পিছোননি। এমনকী মিঠুনও কুণালের একই দিনে ডাবিংয়ের কথা জানতেন। তাও তিনি ডাবিং পেছোন নি। যতই রাজনৈতিকগত তাদের মধ্যে শত্রুতা থাকলেও আদতে তাঁরা শিল্পী। এরপর মিঠুনকে নিয়ে কুণাল বলেন, অতীতে অভিনেতার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক থাকলেও বর্তমানে সেই ছবি অনেকটা বদলে গিয়েছে। মিঠুন সারাক্ষণ যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করে চলেছেন সেটা দলীয় মুখপাত্র হিসাবে তিনি নিতে পারবেন না। তাই সৌজন্যের খাতিরেও মিঠুনের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রশ্ন ওঠে না। যদি এদিন মুখোমুখি হয়েও যেতেন, তাহলে মিঠুনের সামনে কুণাল কোনও অসভ্যতা করতেন না। আবার আদিখ্যেতাও দেখাতেন না। তবে সৌজন্য সাক্ষাতও নির্বাচনের আগে তাঁর জন্যে বিতর্কিত হতে পারত।

এরপরেই দেবকে টেনে কুণাল ঘোষ বলেন, দেবও শাসকদলের সাংসদ। কিন্তু অভিনয়ের সময় সমস্ত অভিনেতার সঙ্গেই তাঁর সহাবস্থান। মিঠুন কিংবা সোহিনী সরকার, যাঁরা শাসকদল নিয়ে সারাক্ষণ কুকথা বলছেন দেব তাঁদের মধ্যেই প্রতিভার খোঁজ পান! বাংলায় যেন এঁরা ছাড়া অভিনেতা, প্রতিভা নেই। মিঠুনের আক্রমণাত্মক ভাষায় তাঁর আপত্তি। সোহিনী আরজি কর-কাণ্ডের সময় বলেছিলেন যে, এ রাজ্যে সন্তানের জন্ম দেওয়া উপযুক্ত নয়। রাজ্যকে নিয়ে কুকথা বলেছেন। এর পরেও ওঁকে সমর্থন করা যায়না। কিন্তু দেব অভিনেত্রীকে ছবিতে নিয়েছেন। এরপরে কুণাল বলেন, দেবের সঙ্গে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত বিরোধ না থাকলেও তাঁর বেশ পছন্দ রুক্মিণী মৈত্রকে। দেবের সবসময় ‘উদার সাজা’ তাঁর পছন্দ নয়।দেব নাকি মেগাস্টার! তিনি যদি তাই হন, তাহলে তাঁকে ছবিতে এত তারকা নিতে হয় কেন?

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোনাগাছির যৌনকর্মীরা কার্তিক পুজোয় মেতে উঠলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে

বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে

হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যাওয়া সদ্যোজাত শিশুকে ভাঙড় থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ, গ্রেফতার ২

জগদ্দলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির পদ পাইয়ে দিতে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ RSS নেতার বিরুদ্ধে

অপরিচিতার কাছে শিশু পুত্রকে রেখে ওষুধ কিনতে যান মা, সদ্যোজাতকে নিয়ে উধাও যুবতী

রাজ্য ও ভিন রাজ্যের কয়েকশো বাংলাদেশি হাকিমপুর সীমান্তের পথে, আটক করল বিএসএফ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ