নিজস্ব প্রতিনিধি, সল্টলেক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন,সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এস এস সি। রায়ের কপি পেলেই মুভ করবেন। কি গ্রাউন্ডে অ্যাপিল সেটা পরে জানাবো। মূল কারণ হল, এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সিবিআই তদন্ত চলেছে। ৫০০০ নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ সিবিআইয়ের(CBI)। এগুলির নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ ছিল। বাকি প্রায় ১৯০০০ এর ব্যাপারে কি অভিযোগ? তাদের কেন চাকরি গেল? এখনও পরিস্কার নয়। তাই রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা করছি। স্কুলে শুন্যতা কি ভাবে পূরণ হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আমি আদালতের এই রায়ে অসন্তুষ্ট। রায়ের কপি হাতে পেয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে মুভ করব।এদিকে হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
ও এম আর শিটের পুনর্মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনো গাইডলাইন নেই। ৩৫০ টির বেশী মামলা। ফলে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। নতুন নিয়োগ শুরু নিয়ে বা তার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। নিয়োগ করাই তো আমাদের কাজ। সরকার নির্দেশ দিলে প্রক্রিয়া শুরু করব। কিন্তু আদালত জানিয়েছে ফ্রেশ নিয়োগ নয়। ও এম আর শিট(OMR Sheet) পুনর্মূল্যায়ন। আমরা সিবিআইয়ের থেকে হার্ড ডিস্ক(Hard Disk) নিয়ে দেখব সেখানে কি কি পাওয়া যায়। তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের ঐতিহাসিক রায় সোমবার দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court)। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনও চাকরির বৈধতা নয়,জানিয়ে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিজ নিজ জেলার সরকারী ট্রেজারী ব্যাঙ্কে সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হবে। চাকরীর শুরু থেকে এযাবৎ কালের পাওয়া পাই পাই বেতনের পুরো টাকাও, নির্দেশ হাইকোর্টের। এই রায়ের প্রতিলিপি সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য সরকার এই মামলার কলকাতা হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। পরে সুপ্রীম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে মামলার ফের বিচার শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সুতরাং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টের (Supreme Court)দ্বারস্থ হওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেল। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee) জানিয়ে দিয়েছেন কেন পুরো প্যানেল বাতিল করা হলো এর কারণ জানতে এই রায় কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হবে। সোমবার সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে একসঙ্গে ৩৫০টি মামলার রায় ঘোষণা করল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। সকাল সাড়ে ১০ টায় ২৮১ পৃষ্ঠার রায় পড়েন বিচারপতি বসাক। গত তিন মাস ধরে গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সব মামলা বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলেছে।
বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়ে দেন, দুর্নীতির ব্যাপারে সিবিআই তাদের তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং শিক্ষা দফতরের যে সব সরকারী আমলা,কর্মীরা এবং রাজনৈতিক নেতা,মন্ত্রীরা এই নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, অর্থাৎ যাঁরা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের সুপারিশে বা নির্দেশে যে সরকারী আধিকারিকরা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়েছিলেন, সিবিআই চাইলে তাঁদের তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিতে পারবে।সেক্ষেত্রে আদালতের আলদা করে কোনো অনুমতি নিতে হবে না।