নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল ছাড়ার আগেই বারবার বামেদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছিল মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রকে। মঙ্গলবার আবার বামেদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন আরামবাদে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ করে বামেদের প্রশংসা করেছেন শুভেন্দু। তিনি জানিয়েছেন, ”আরামবাগের চার বিধানসভার বহু মানুষ ত্রাণ থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে বিজেপি সমর্থকদের ত্রাণ দেওয়া থেকে নির্লজ্জ ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাঁদের জন্য এই ত্রাণ আমাদের নেতৃত্বের হাতে তুলে দেব। এতে ৬-৭ হাজার মানুষ উপকৃত হবে না। বন্যা পরবর্তী পর্যায়ে মানুষের ত্রাণসামগ্রী প্রয়োজন হয়। কিন্তু ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে তৃণমূলের লোকজন সংকীর্ণ দলবাজি করছে। বামফ্রন্টের আমলে ত্রাণ বিলিতে এমন সংকীর্ণ রাজনীতি দেখিনি। আমি বামেদের আমলেও কাউন্সিলর ছিলাম, বিধায়ক ছিলাম, সাংসদ ছিলাম। তখনও বন্যা হয়েছে। তখন কিন্তু বাম সরকার ত্রাণ নিয়ে কোনও দলবাজি করেনি। সেই সময় নন্দীগ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় লড়াই করেছি। এখন তৃণমূল সরকার যে দলবাজি করছে তা বিগত দিনে কোনও সরকার করেনি।’
একদা বাম নেতাদের দেখতে পেলে বাপ-বাপন্ত করা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদেরই গুনগান গেয়ে নিজের রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘বর্ষার আগে কোনও প্রস্তুতি বৈঠক করেনি সেচ দফতর। ৯ মে পর্যন্ত উনিই সেচ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। উনি ডিভিসি-কে দোষ দিচ্ছেন। কিন্তু ডিভিসি ৭২ ঘণ্টা আগে জল ছাড়ার কথা জেলাশাসকদের জানিয়েছিল। কিন্তু সরকার জনগণকে সতর্ক করেনি। মানুষকে নিচু এলাকা থেকে সরায়নি। এমনকি বাঁধ শক্ত করার কাজও করেনি অপদার্থ রাজ্য সরকার। বাঁধ ভাঙবে কেন? সরকার এক ঝুড়ি মাটি ফেলেনি।’
শুভেন্দুকে পাল্টা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। আক্রমণ শানিয়েছেন জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘বিরোধী দলনেতার ইতিবাচক সমালোচনা করা উচিত। তার বদলে উনি কুৎসা করছেন। আজ উনি সিপিএমের ভক্ত সেজেছেন। আজ কিন্তু তৃণমূলের সরকার দেখিয়ে দিয়েছে কী ভাবে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকলের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। কোনও বিজেপিশাসিত রাজ্যে এমন পরিষেবা আছে? উনি বিরোধী দলনেতা হয়ে ৫ পয়সাও তো আনতে পারেননি। বরং আজগুবি কথা বলছেন।’