নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের ভোট মিটে যাওয়ার পরেও বাংলার বুকে অব্যাহত রয়েছে শাসক দলের ওপর আক্রমণের পালা। এখনও খুন হতে হচ্ছে শাসক দলের নেতাদের। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানা এলাকায় এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার জেরে জখম হন ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গীও। রাজনৈতিক কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ওই নেতার পরিবারের তরফে দাবি করা হলেও এই ঘটনার পিছনে ব্যবসায়িক শত্রুতার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে ঘটনার তদন্তে নামা পুলিশ। তবে তাঁরা এই ঘটনার জেরে এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ মাটিয়া থানার চাঁপাপুকুর পূর্বপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই সময় আকিপুরে বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা মোফাজ্জল হক মণ্ডল খোলাপোতা বাজার থেকে এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা চার চাকার গাড়ি নিয়ে এসেছিল। সেই গাড়ি দিয়েই তারা প্রথমে বাইকে ধাক্কা মারে। তার জেরে মোফাজ্জল হক ও তাঁর সঙ্গী মাটিতে পড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নেমে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। বসিরহাট স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল নেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ও জখম দু’জনের শরীরেই গুলি ও ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ রয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসার আগেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মাটিয়া থানার পুলিশ। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে মোফাজ্জেল ও তাঁর সঙ্গীকে ভর্তি করা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। সেখানে প্রাণ হারান পেশায় ভেড়ির মালিক মোফাজ্জল।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে যান চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা আবু ইশাক মণ্ডল। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মোফাজ্জেল হক দলের কোনও পদে না থাকলেও এলাকায় সমাজ কর্মী হিসেবে যথেষ্ট নামডাক ছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই খুন করা হয়েছে।’ তবে ঘটনার তদন্তে নামা পুলিশ মনে করছে এই ঘটনার পিছনে ভেড়ির ব্যবসাও অন্যতম কারন হিসাবে উঠে আসতে পারে।