এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্বাস্থ্যসাথীতে ক্যান্সারের পরীক্ষানিরীক্ষাও এবার থেকে বিনামূল্যে

Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে সাফল্যের সরণিতে নয়া মাইলফলক স্পর্শ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) চালু করা ‘স্বাস্থ্যসাথী’(Swastha Sathi) প্রকল্প। ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলায় এই প্রকল্প চালু করেন বাংলার অগ্নিকন্যা। তাঁর দূরদর্শিতা ও সুচিন্তিত পরিকল্পনার জোরে নজির তৈরি করেছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’। আজ দেশের অনান্য রাজ্যগুলিও ভাবছে কোন পথে স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প চালু করা যায় নিজ নিজ রাজ্যে। পরিসংখ্যান বলছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬ বছরে এই প্রকল্পের পিছনে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ৯০০০ হাজার কোটি টাকা। আর সেই সূত্রে বিনামূল্যের চিকিতসা পরিষেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন বাংলার ৬০ লক্ষ মানুষ। এবার সেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যান্সার(Cancer) রোগে আক্রান্ত রোগীরা পেতে চলেছেন বিনামূল্যে পরীক্ষানিরীক্ষার(Free Tests) সুযোগও।

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে পেট স্ক্যানের মতো ক্যান্সারের ক্ষেত্রে জরুরি, কিন্তু দামি পরীক্ষা করা যাবে নিখরচায়। এমনকী প্রাইভেট হাসপাতালেও! কলকাতার গড়িয়ায় নয়াবাদ এলাকায় থাকা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ক্যান্সার হাসপাতাল পেট স্ক্যান সহ বেশ কিছু অত্যন্ত খরচাসাপেক্ষ পরীক্ষায় চালু করে দিল স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা। অর্থাৎ সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এলে রোগীরা ক্যান্সারের এইসব পরীক্ষা করানোর সুবিধা পাবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। পেট স্ক্যান করতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। কিন্তু এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথীতে তা হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। থাইরয়েড ক্যান্সারের জন্য প্রাইভেটে লো ও হাই ডোজ আয়োডিন থেরাপির খরচ পড়ে ৪০-৬০ হাজারের মধ্যে। স্বাস্থ্যসাথীর দৌলতে এবার থেকে সেটাও হবে বিনামূল্যে। একইভাবে প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্য পিএসএমএ স্ক্যানের খরচ বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রে ২৫-৩০ হাজার টাকা। স্বাস্থ্যসাথীর সাহায্যে তাও হবে বিনামূল্যে। পুরো শরীরের আয়োডিন স্ক্যান প্রাইভেটে করাতে ৬-৮ হাজার টাকা খরচ পড়ে।

তবে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত এই পরিষেবা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ক্যান্সার হাসপাতালেই(Netaji Subhas Chandra Bose Cancer Hospital) চালু করা হল। তবে চলতি বছরেই রাজ্যের যে সব সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়, সেই সব সরকারি হাসপাতালে চালু করে দেওয়া হবে। এতে সব থেকে বেশি উপকৃত হবেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলি। কেননা এই সব পরিবারের কারোর ক্যান্সার হলে সবার আগে মাথায় হাত পড়ে আর্থিক চাপের কারণে। অনেক পরিবারই এই আর্থিক চাপ বহণ করতে পারে না। সেই সব পরিবারের সদস্যরা কার্যত হার মানেন একসময় ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে করতে। অনেকে আবার ঘরবাড়ি, দোকান, জমিজমা, সোনার গয়না সব বিক্রি করে দেন এই রোগের চিকিৎসার জন্য। খালি হয়ে যায় তাঁদের জমানো ব্যাঙ্কের সব টাকাপয়সা। কার্যত সর্বস্বান্ত হয়ে যায় পরিবারগুলি। এবার সেই ঘটনা ঠেকানো অনেকটাই সম্ভব হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জেরে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিজ্ঞাপনে তৃণমূলকে নিশানা, সুকান্তকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

ভোটের দিন হাওড়া, হুগলি ও উত্তর চব্বিশ পরগনাতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

৩ মাসের ভোট গেরোয় নতুন নাম নথিভুক্তকরণ বন্ধ স্বাস্থ্যসাথীতে, বিপাকে বহু পরিবার

ভোট বড় দায়, বামেদের মুখে ঝামা ঘষে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাশে বৃন্দা

শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনে ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

কেন এত সময় লাগছে? মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর