নিজস্ব প্রতিনিধি: খবর তৈরি করতে কখনই পিছপা হন না দেশের জনপ্রিয় গীতিকার-চিত্রনাট্যকর জাভেদ আখতার। বিশেষ করে তাঁর একেকটা বেফাঁস মন্তব্যে প্রতিনিয়ত শিরোনামে স্থান নেয়। তবে সম্প্রতি সুপারস্টার সলমন খানের দুর্দান্ত প্রশংসা করলেন জাভেদ আখতার। কিন্তু কেন, যেখানে তাঁর মুখে শুধুই বিস্ফোরক মন্তব্য ছাড়া কিছুই নেই, সেখানে তাঁর মুখে আচমকা সলমনকে নিয়ে কেন মিষ্টতার সুর? আসলে জাভেদ আখতার সলমান খানের বাবা সেলিম খানের সঙ্গে যৌথভাবে বেশ কয়েকটি কাল্ট ক্লাসিক ছবির কাজ করেছেন। জাভেদ আখতার সলমন খানের প্রশংসা করে বলেছেন যে, তিনি যত বড় সুপারস্টারই হোক না কেন, তিনি তাঁর বাবা-মাকে সম্মান করতে জানেন। এমনকী সলমান তাঁদের সমস্ত ঐতিহ্য এবং শিষ্টাচার অনুসরণ করেন।
জাভেদ এবং সলমনের বাবা সেলিম খান সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গিয়েছিলেন। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম অনুসারে জাভেদ সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে সেলিমকে নিয়ে বলেন, বাবা-মা কে সম্মান করা উচিত, কীভাবে থাকতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে, এই বিষয়ে তাঁর বড় ছেলে, যিনি সবচেয়ে বড় তারকা, তাঁর কাছ থেকে শিখুন, যিনি এখনও তাঁর বাবার চোখের দিকে তাকান না। এই বাচ্চারা আমাদের ঐতিহ্য এবং শিষ্টাচার শিখেছে।” জাভেদ সেলিম খানের সঙ্গে যৌথভাবে বেশ কয়েকটি কাল্ট ক্লাসিক লেখার জন্য পরিচিত। দুজনকে সেলিম-জাভেদ বলা হয়। তাঁরা শোলে, ইয়াদন কি বারাত, জাঞ্জির, দিওয়ার, ত্রিশুল, কালা পাথর, দোস্তানা, সীতা অউর গীতা, মিস্টার ইন্ডিয়া এবং ডনের মতো ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রলির স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। এদিকে সলমানকে পরবর্তীতে মনীশ শর্মা পরিচালিত টাইগার 3-এ দেখা যাবে।
টাইগার ৩-তে আরও অভিনয় করছেন, ক্যাটরিনা কাইফ এবং ইমরান হাশমি। সম্প্রতি প্রকাশিত ২ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের দীর্ঘ ট্রেলারে, সালমানকে ভারতের সেরা এজেন্ট, টাইগার হিসাবে দেখানো হয়েছে, যিনি তার পরিবার এবং দেশকে শত্রুর হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আর সলমানের শত্রু হিসেবে ছবিতে কাজ করছেন ইমরান হাশমির। ট্রেলারে ক্যাটরিনা কাইফকেও অ্যাকশন অবতারে দেখানো হয়েছে। ছবিটি হিন্দি, তামিল এবং তেলেগু ভাষায় ১২ নভেম্বর রবিবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। অন্যদিকে জাভেদ আখতার কয়েক মাস আগে, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (এসওএএস) একটি অনুষ্ঠানে ডক্টর অফ লিটারেচার সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেছেন। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে একজন বিশিষ্ট লেখক হিসাবে তার সৃজনশীল প্রচেষ্টা এবং একজন কর্মী হিসাবে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার উত্সর্গের জন্য সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।