এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের আওতায় বাম জমানার শিক্ষকরাও

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: অতি লোভে গলায় দড়ি। আগে থেকেই তাঁরা স্কুলে শিক্ষকতার(School Teachers) চাকরি করছিলেন। কেউ বাড়ির কাছে আসার জন্য, কেউ উচ্চতর স্কেলে যেতে দ্বিতীয়বার School Service Commission বা SSC’র পরীক্ষায় বসেছিলেন। SSC একটা সময় জানিয়েছিল, কর্মরত শিক্ষকদের ফের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমতো মামলা লড়ে পরীক্ষায় বসার অনুমতি এনেছিলেন তাঁরা। অনেকে নতুন করে স্কুলে চাকরি পেয়েও গিয়েছেন। কিন্তু নিয়তির ফেরে তাঁরাও এখন ফ্যাসাদে পড়েছেন। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের(Investigation on School Teachers Recruitment Scam) আওতায় এসে গিয়েছেন তাঁরা। হয়রানি এড়াতে অগত্যা সেই আদালতেরই দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। নজরে বাম জমানায়(Leftfront Era) নিয়োগ পাওয়া স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ।  

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জেরে ২০১৬ SLST’র ভিত্তিতে নিযুক্ত মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করছে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর। DI-রা স্কুলে স্কুলে গিয়ে সেই সব তথ্য সংগ্রহ করছেন। এরপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে সেই তথ্য পৌঁছবে স্কুলশিক্ষা কমিশনারের কাছে। শেষ পর্যন্ত সেই তথ্য তুলে দেওয়া হবে তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আগে থেকেই চাকরিরত এই শিক্ষকরা। স্কুলশিক্ষা দফতরের একটি হিসেব অনুযায়ী, এমন শিক্ষকের সংখ্যা ২২০০’র কম নয়।

২০১০ সালে পরীক্ষা দিয়ে ২০১১ সালে একটি স্কুলে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন এক শিক্ষক। সেই স্কুলের দূরত্ব ছিল তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ওই শিক্ষক উচ্চতর স্কেল এবং কাছাকাছি স্কুল পাওয়ার জন্য ২০১৬ SLST পরীক্ষায় বসেন। তার ভিত্তিতে ২০১৮ সালে একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে রসায়নের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে এমন শিক্ষকদের Pay Protection-ও দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম স্কুলের চাকরিতে যোগদানের সময় থেকেই যাবতীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা। এখন তাঁদের তথ্যও সংগ্রহ করছে স্কুল। জমা পড়ছে DI-য়ের কাছে।     

ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘২০ বছরেরও বেশি চাকুরিরত শিক্ষকরাও তালিকায় রয়েছেন। কোনও জেলা তথ্য জমা দেওয়ার সময় তাঁদের প্রথম জয়েনিংয়ের তারিখ উল্লেখ করে দিচ্ছে। আবার কোনও জেলায় তা করা হচ্ছে না। ফলে ধন্দ এবং উদ্বেগ বাড়ছে। তাই সবাই মিলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন।’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ SLST’র মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকদের Police Verification এবং Medical Test না হওয়ায় Confirmation-ও হয়নি। কিন্তু এক্ষেত্রে Confirmation Letter-ও চাওয়া হচ্ছে বিকাশভবন থেকে। সেটাও একটা উদ্বেগের বিষয়। আগে থেকে কর্মরত শিক্ষকদের যুক্তি, প্রথম চাকরির সময়ই তাঁদের Confirmation হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন চাকরির Confirmation letter তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সেটাও আদালতের কাছে তুলে ধরা হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিজ্ঞাপনে তৃণমূলকে নিশানা, সুকান্তকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

ভোটের দিন হাওড়া, হুগলি ও উত্তর চব্বিশ পরগনাতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

৩ মাসের ভোট গেরোয় নতুন নাম নথিভুক্তকরণ বন্ধ স্বাস্থ্যসাথীতে, বিপাকে বহু পরিবার

ভোট বড় দায়, বামেদের মুখে ঝামা ঘষে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাশে বৃন্দা

শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনে ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

কেন এত সময় লাগছে? মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর