নিজস্ব প্রতিনিধি: কোনও নোটিশ না দিয়ে বাড়ি ভাঙার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর পুরসভার বিরুদ্ধে। যে বাড়িগুলি ভেঙে ফেলা হচ্ছে তার মালিকদের দাবি তাদের কাছে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও বলপূর্বক পুরসভা তাঁদের বাড়ি ভেঙে ফেলেছে। অন্যদিকে বাড়ি উচ্ছেদ নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত নিতে কোনও নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
মেদিনীপুর পুরসভার অভিযোগ, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নান্নুরচক এলাকায় পুরসভার জমিতে বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নির্মাণ গড়ে তুলেছে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। মেদিনীপুর পুর এলাকায় ওই জমিতে পানীয় জলের একটি ছোট প্রকল্প রয়েছে। পড়ে থাকা বাকি জমিতে বেশকিছু নির্মাণ হয়েছে কয়েক দশকে। এর পর বাড়ির মালিকরা বেশ কিছু কাগজপত্র তৈরি করে নিয়েছে ওই জমির ওপরে। বর্তমানে পুরসভার উদ্যোগে পানীয় জল প্রকল্প আরও সম্প্রসারণ করার জন্য সেই জমি উদ্ধার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। শনিবার সকাল থেকেই সেই জমির ওপর অবৈধ নির্মাণ ভাঙা শুরু করা হয় পুরসভার তরফে। আর তখনই সেই উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে শুরু হয় উত্তেজনা। উচ্ছেদে বাড়ি ভাঙা পড়েছে এমন এক বাড়ির মালিক পম্পা জানা বলেন, “আমি এখানে প্রায় ১২ বছর বসবাস করছি। আমার অনেক কাগজপত্র রয়েছে। পৌরসভার দাবি ভিত্তিহীন বলে কোর্টে মামলাও চলছে। কিন্তু আজ হঠাৎ পৌরসভার লোকজন কোনও নোটিশ ছাড়াই বাড়িগুলো ভাঙতে শুরু করে দিয়েছে। এটা অন্যায়।” স্থানীয় অন্য আরেক বাসিন্দা জানান, পুরসভার জল প্রকল্পের জায়গার কিছু অংশ অন্যান্যদের মত আমারও দখলে ছিল। কিন্তু সব দখল হওয়া জায়গা ফেরত নিচ্ছে না পুরসভা। আমার মত কয়েকজনের বাড়ি ভেঙে জায়গা দখল করছে পুরসভা। যদি জনস্বার্থে পুরসভার জায়গা উদ্ধার হয় তাহলে সকলের কাছ থেকে ফেরানো হোক। দু’একজনের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে জায়গা ছেড়ে দিয়ে কিছু লোকের জায়গা দখল হচ্ছে। আমরা এটার বিরুদ্ধে কোর্টে যাব।” মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন “পানীয় জলের মাস্টারপ্ল্যানের জন্য পৌরসভার এই জমি। আমরা সেই জমিতে যারা ছিলেন তাদের সরে যেতে বলেছি। সকলেই সরে গিয়েছে। কারোর বাড়ি ভাঙা হচ্ছে না। দু’একজনের জন্য বৃহত্তর স্বার্থে কাজ আটকে রাখা যায় না।”
