নিজস্ব প্রতিনিধি: চাহিদা কম নয়। সে চাহিদা ন্যায্য নয়। সুজিত সরকার টাকা আদায়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকত বাড়িতে। তা না পেয়ে বচসা শুরু হয়েছিল দাদু ও ঠাকুমার সঙ্গে। তারই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন বাবা। আর বাবাকেই মার খেতে হল ‘গুণধর’ ছেলের হাতে। জুটল লাথিও।
দাদু- ঠাকুমার কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়ের চেষ্টা। আর তা না পেয়ে বচসার ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন বাবা। তাতেই জুটল কিল, লাথি, ঘুষি, চড়। আক্রান্ত বাবা গুরতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি রয়েছে। অভিযুক্তের নাম সুজিত সরকার। আক্রান্ত রতন সরকার। আক্রান্তের মেজ ছেলে সুজিতই অভিযুক্ত। ধূপগুড়ি ব্লকের আংড়াভাসা ধীরেন দোকান এলাকার ঘটনা। এখানের বাসিন্দা রতন সরকার। তাঁর ৩ ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে রতন সরকারের ছিল লটারি ও চপের দোকান। লকডাউনের সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দিনমজুরির কাজ করতেন রতন। তাঁর মেজ ছেলে কোনও কাজ করতেন না। টাকার জন্য প্রায়দিনই পরিবারে চাপ দিতেন সুজিত। শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ টাকার জন্য দাদু- ঠাকুমা ও মাকে চাপ দিতে থাকেন সুজিত। তখনই প্রতিবাদ করেন রতন। এরপরেই গুণধর ছেলে শুরু করেন বাবাকে মারধর। জানা গিয়েছে, ক্রমাগত লাথি ও ঘুষিতে লুটিয়ে পড়েন রতন। তাঁকে উদ্ধার করে এক ছেলে ও স্থানীয় বাসিন্দা। তারপর আক্রান্তকে নিয়ে যাওয়া হয় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ (Police)।