এই মুহূর্তে




বাংলাদেশে তালিবানি রাজ! পুলিশের সামনে ঢাকায় প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে মারধর আওয়ামী লীগ কর্মীদের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পাকিস্তানি চর তথা রাজাকার মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের জমানায় বাংলাদেশ যে তালিবানি রাজত্ব চলছে, ফের একবার সাক্ষী থাকল রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা। রবিবার (১০ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে মারধর করল বিএনপি গুন্ডারা। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ওই গুন্ডামি শুধু দাঁড়িয়ে দেখেননি, আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রাণে মেরে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছেন। আর ওই ন্যক্করজনক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেক নেটা নাগরিক প্রশ্ন তুলেছেন, শেখ হাসিনাকে হঠানো হয়েছিল কী এই বাংলাদেশ দেখার জন্য।

ক্ষমতাচ্যূতির তিন মাস বাদে এদিনই প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বেলা তিনটের সময়ে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল। ওই কর্মসূচি রোখার জন্য কোমর কষে ঝাঁপিয়েছিল পাকিস্তানি ভৃত্য মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার ও নব্য রাজাকার বাহিনী হিসাবে পরিচিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আওয়ামী লীগ কর্মীদের দেখা মাত্র গুলিতে ঝাঁঝরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মাইনুল হাসান। শনিবার রাতেই গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট দখল নিয়েছিল হিযবুত তাহরী, হুজি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গিরা। রবিবার সকাল থেকে ঢাকার রাজপথে নেমেছিল বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা।

এদিন দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর সামনে জড়ো হয় একদল গুন্ডা। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দাঁড়ানো বেশ কয়েকজনকে ঘিরে ধরে চলে বেধড়ক মারধর। জামা-প্যান্ট খুলে বিবস্ত্র করে চলে কিল-চড়-ঘুষি। আর দাঁড়িয়ে মজা দেখছিলেন পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। মারধরের সময় গুন্ডারা শ্লোগান দেয়, ‘‘জিয়ার সৈনিক এক হও’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’।  আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক সন্দেহে নিরীহদের বেধড়ক মারধরের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিমিষেই আশেপাশের দোকান-ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালাতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে, দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ তাঁর মন্ত্রিসভার পলাতক সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রেড নোটিশ জারি করেছে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। ইতিমধ্যেই ওই রেড নোটিশ ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশে যাতে ওই রেড নোটিশ জারি করা হয়, তার জন্যও ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মূলত শেখ হাসিনাকে যাতে ভারত সরকার প্রত্যর্পণে বাধ্য হয়, তার জন্য এমন পথে হাঁটা হয়েছে।

গত ৫ অগস্ট সেনা বিদ্রোহের মুখে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা। ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে তিনি ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, আওয়ামী লীগের সাংসদ-নেতা, হাসিনা ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত আমলা ও পুলিশ আধিকারিকরাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। যদিও শেখ হাসিনা ছাড়া বাকিদের অবস্থান নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও তথ্য সরকারের শীর্ষ মহলের কাছে নেই।

ইতিমধ্যেই জুলাই-অগস্টের গণহত্যার জন্য দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ইতিমধ্যেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আগামী ১৮ নভেম্বর অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থা‍ৎ বঙ্গবন্ধু কন্যা-সহ পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার জন্য হাতে আর মাত্র এক সপ্তাহ সময় রয়েছে। সূত্রের খবর, ১৮ নভেম্বর পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের ফেরার হিসাবে ঘোষণার আর্জি জানানো হবে। যদিও তার আগেই পলাতক হিসাবে চিহ্নিত করে হাসিনা-সহ তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করার জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে ইউনূস সরকার। তবে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করলেও আদৌ পলাতকদের দেশে ফেরানো সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না’, ভারতের বিদেশ সচিবকে প্রচ্ছন্ন হুমকি ইউনূস সরকারের

দিল্লিকে বেশি বাড়াবাড়ি না করার হুঁশিয়ারি দিলেন ইউনূসের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দিল্লি থেকে ইউরোপীয় ভিসা সেন্টার সরিয়ে ঢাকা-পাকিস্তানে খোলার দাবি মোল্লা ইউনূসের

‘ভারত বিদ্বেষী’ বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ দার্জিলিংয়ের হোটেলের দরজা

ইউনূসের জমানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো হচ্ছে জঙ্গিবাদ, স্কুল বিমুখ ৩৭ শতাংশ শিশু

মোল্লা ইউনূস ও তার গ্যাং’কে নিয়ে বাংলাদেশের সমাজমাধ্যমে তোলপাড় ফেলেছে যে ছবি

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর