এই মুহূর্তে




নাটক চলছে, চিন্ময় প্রভুর জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার বিচারপতির




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা:  জেলবন্দি ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর জামিন নিয়ে পরতে পরতে নাটক। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরেই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশের হিন্দুদের ‘ত্রাণ কর্তা’ চিন্ময় প্রভুর জামিন মঞ্জুর করেছিল হাইকোর্টের বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার বেঞ্চ। ওই জামিনের কথা জানতে পেরেই ঘুম উবে যায় ইউনূস সরকারের। তড়িঘড়ি জামিন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি রেজাউল হকের কাছে। আর সরকারের সেই আর্জি মেনে চিন্ময়ের জামিন স্থগিত রাখেন বিচারপতি। একতরফা রায় নিয়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠতেই নিজের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জামায়াত ইসলামীর কোটায় বিচারপতি পদে নিয়োগ পাওয়া রেজাউল হক। আগামী রবিবার (৪মে) জামিন নির্দেশ স্থগিত রাখার বিষয়ে ইউনূস সরকারের দায়ের করা আর্জি শুনবেন বলে জানিয়েছেন।

গত বছরের ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশজুড়ে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। নির্বিচারে লুট হয় হিন্দুদের বাড়িঘর-দোকান-ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ভাঙচুর হয় মন্দির-প্রতিমা। হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক মঠের অধ্যক্ষ তথা ইসকন সন্ন্যাসী চিনময়কৃষ্ণ দাস ওরফে চিন্ময় প্রভু। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের  বড় সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের পর গত ৩১ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। তাতে ভয় না পেয়ে ২২ নভেম্বর রংপুরে আরও এক বড় সমাবেশ করেন চিন্ময় প্রভু। মুসলিম প্রধান দেশে একজন হিন্দু সন্ন্যাসীর এমন দুঃসাহস মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তানি পোষ্যভৃত্য তথা মৌলবাদী মোল্লা ইউনূসের সরকার। গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবনদর থেকে চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। যদিও এতদিন ওই মামলার শুনানি হয়নি। বুধবার আচমকাই ওই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার বেঞ্চ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিনের আদেশ দেন। ওই নির্দেশের কথা জানতে পেরেই ইসকন সন্ন্যাসীর জেলমুক্তি রুখতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি তথা জামায়াত ইসলামীর আইনজীবী সেলের শীর্ষ নেতা রেজাউল হকের দ্বারস্থ হয় সরকার পক্ষ।

আর প্রভুদের নির্দেশ মেনেই জামিন স্থগিত করেন বিচারপতি রেজাউল হক। এ সংক্রান্ত শুনানিতে সরকারের হয়ে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আরশাদুর রউফ। তবে চিন্ময় প্রভুর কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। কীভাবে একতরফা শুনানি করে জামিন আদেশ স্থগিত রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিপাকে পড়ে তড়িঘড়ি নিজের আদেশ প্রত্যাহার করেন জামায়াত স্যাঙাত বিচারপতি রেজাউল।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পিএসএলে খেলার জন্য বিসিবির কাছে ছাড়পত্র চাইলেন সাকিব আল হাসান

ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষকদের

মোস্তাফিজকে দলে নিতেই শুরু বিতর্ক, উঠল দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের ডাক

ছাত্র আন্দোলনে ফের অগ্নিগর্ভ ঢাকা, পড়ুয়াদের রক্তে ভিজল রাজপথ

৬ কোটি টাকায় ‘বাংলাদেশি’ মোস্তাফিজুরকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

ভারতকে টক্কর দিতে চিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনছে বাংলাদেশ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর