নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম আর দুর্নীতির কারণে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় পড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(Sk. Hasina)। সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের শীর্ষ মহলের কাছে সুখবর বয়ে আনল ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট (World Hapiness Index) বা বিশ্ব সুখী দেশের সূচক। গত বছরের সূচনায় সূচকে সাত ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ(Bangladesh)। শুধু তাই নয়, পড়শি ভারত, পাকিস্তান সহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশকেই টেক্কা দিয়েছে।
শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস সূচক। আর সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে ৫ দশমিক ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ৯৪তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্থান ছিল ১০১ তম। তার আগের বছর ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনারবাংলা ছিল ১০৭তম স্থানে আর ২০১৯ সালে ১২৫তম স্থানে। অর্থাৎ তিন বছরে ৩১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একাধিক জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপের কারণেই সুখী দেশের তালিকায় ক্রমশই বাংলাদেশ এগোচ্ছে বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মানসিক শান্তি, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক পরিবেশের মূল্যায়ন করে জাতিসঙ্ঘের সহযোগিতায় তৈরি করা হয় সুখী দেশের তালিকা। চলতি বছর যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। ২০১৮ সাল থেকেই সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানটি দখলে রেখেছে নরডিক দেশটি। এ বছর ৭ দশমিক ৮২১ সূচক পেয়ে দেশটি শীর্ষস্থান দখল করেছে। শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলি হলো ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, নরওয়ে, ইসরায়েল ও নিউজিল্যান্ড। রাজনৈতিক পালাবদলের পরে তালিবানদের দখলে যাওয়া আফগানিস্তান সবচেয়ে কম সুখী দেশের তকমা পেয়েছে। তালিকায় ভারতের স্থান ১৩৬তম। নরেন্দ্র মোদির ভারতের চেয়ে ইমরান খানের দেশ পাকিস্তানের মানুষ বেশি সুখে রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তালিকায় পাকিস্তান ১২১তম স্থানে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা ১২৭তম ও নেপাল রয়েছে ৮৪তম স্থানে।
