নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠতেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুসের যাবতীয় ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্য তলব করল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে ইউনুসের ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠানোর জন্য দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯৮৩ সালে দেশে এরশাদের নেতৃত্বে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনই গ্রামীণ ব্যাঙ্ক খোলেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে আবির্ভূত হওয়া মুহাম্মদ ইউনুস। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ‘গ্রামীণ’ গ্রামের গরিবদের ঋণ দেওয়ার অছিলায় সুদখোর মহাজনের মতো ভূমিকা পালন করছে বলেও ভুরি-ভুরি অভিযোগ ওঠে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ও সেনা আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরেই ইউনুসের সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়া সত্বেও পদ আঁকড়ে থাকায় শেখ হাসিনা সরকার ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় ইউনুসকে। প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন মার্কিন বান্ধব অর্থনীতিবিদ। কিন্তু মামলায় হেরে যান তিনি।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এক আধিকারিক সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘গত দু’বছরে ইউনুসের ব্যাঙ্ক হিসেবের যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে ইউনুসের হিসাব-সংক্রান্ত যে তথ্য রয়েছে, সেখান থেকেই দ্রুততার সঙ্গে তথ্য সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বিএফআইইউয়ের এমন সিদ্ধান্তে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ নতুন করে বিপাকে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। যদিও এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।