নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের আর্থিক দৈন্যতার কঙ্কালসার চেহারা প্রকট হয়ে পড়ল। ডলারের সঙ্কটে বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করতে না পারায় শনিবার থেকে বাগেরহাটের রামপালের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কবে থেকে ফের কেন্দ্রটিতে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে তা নিয়ে রবিবার বিকেলেও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি ভারত-বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আজিম।
গত বছরে ঘটা করে বেলুন উড়িয়ে রামপালের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশের গরিব মানুষের ঘরের অন্ধকার দূর করবে বলেও জোর গলায় দাবি করেছিলেন তিনি। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক মাস পেরোতে না পেরোতেই বিপত্তি। কয়লার অভাবে শনিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ মালিকানাধীন সংস্থাটির প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে দেশেও ফের লোডশেডিং ভয়াবহ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কয়লা না পাওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে উৎপাদন বন্ধ থাকবে তা জানিয়ে দিয়েছেন সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিক। শুধু প্রথম ইউনিটে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়েছে তাই নয়, আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু করা যাবে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দিহান সংস্থার আধিকারিকরা। উল্টে প্রথম ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর টাকাও খরচ হবে। ফলে লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন তাঁরা।