এই মুহূর্তে




‘হিন্দুদের উপরে হামলায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা নয়’, পুলিশকে নির্দেশ ইউনূসের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার  




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই হিন্দুদের কাছে বধ্যভূমি হয়ে উঠেছে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশ। একদিকে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর লুঠের পাশাপাশি চলছে মন্দির ভাঙচুর। ইদানিং শুরু হয়েছে বেছে-বেছে হিন্দুদের খুন করা। আর মৌলবাদী ও হিন্দু বিদ্বেষী সংগঠনকে ওই কাজে পূর্ণ মাত্রায় মদত জোগাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা পাকিস্তানপন্থী প্রক্তন সেনা আধিকারিক জাহঙ্গীর আলম চৌধুরী। আগেই পুলিশে হিন্দু নিয়োগ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। আর এবার এক ধাপ এগিয়ে হিন্দুদের উপরে কোনও হামলা হলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু না করার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের উপরে হামলার পর চোখ বুজে থাকতে বলেছেন। আর ওই নির্দেশ মেনেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব সরকারের খুনের ১৮ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও মামলা রুজু হয়নি। এমনকি তদন্তও শুরু হয়নি। পুলিশের এমন ভূমিকাতেই ক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়।

সূত্রের খবর, গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ পুলিশের আইজি বাহারুল আলম, ঢাকা পুলিশের কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলি, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি-সহ পুলিশ ও স্বরষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়ে দেন, ‘এখন থেকে কোনও হিন্দুর উপর হামলা হলে কিংবা হিন্দু খুন হয়ে গেলে পুলিশ যেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু না করে। যদি নির্যাতিত বা নির্যাতিতার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়, সেক্ষেত্রে দায়সারা গোছের তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কোনও হিন্দু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বলি হলেও, তাকে রাজনৈতিক খুন হিসাবে দেখাতে হবে।’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ওই কথা শুনে বৈঠকে হাজির একাধিক পুলিশ ও প্রশাসন কর্তারা বিস্মিত হয়ে যান। তখন উপস্থিত পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এটাই সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশ। আমি আপনাদের সেই নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে দিলাম।’ ওই কথা শুনে কেউ আর কিছু বলেননি।

গত মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সে পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম প্রত্যেক পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি ও পুলিশ সুপারদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ওই নির্দেশ জানিয়ে দিয়েছেন। নির্দেশ অমান্য করলে রাজরোষে পড়তে হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন। খোদ স্বরষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশের পরে হিন্দুদের উপরে গত পাঁচদিন ধরে চলা কোনও হামলাতেই আর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেনি পুলিশ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব সরকারের খুনের ঘটনা নিয়েও যথেষ্ট নিস্পৃহ দেখিয়েছে খুলনা মহানগর পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সোয়া নয়টার সময়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া অর্ণবকে। অথচ শনিবার সন্ধে পর্যন্ত কোনও মামলাই দায়ের হয়নি। এমনকি তদন্তও শুরু হয়নি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অপারেশন ডেভিল হান্টে ৭ দিনে গ্রেফতার ৩,৯২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী

তালিবান বাংলাদেশে এবার মৌলবাদীদের হুমকিতে বাতিল বসন্ত উৎসব

বিয়েবাড়িতে মাংস কম দেওয়া নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মারামারিতে আহত ৬

প্রকাশ্য সভায় বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের গণহত্যার হুমকি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতার

‘হাসিনাকে ফেরত দিন’, নথিপত্র-সহ দিল্লিকে ফের চিঠি ইউনূস সরকারের

‘আমরা কারও ধার ধারি না’, মোল্লা ইউনূসকে হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধানের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর