নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: এখনও টাটকা গত বছরের ভয়াবহ হামলার দুঃসহ স্মৃতি। সেই ক্ষত আর চলতি বছরেও হামলার আশঙ্কা নিয়ে শনিবার দেবীর বোধনের মাধ্যমেই বাংলাদেশে (Bangladesh) শুরু হল দুর্গো‍ৎসব (Durgotsav)। এদিন রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeswari Temple), রামকৃষ্ণ মিশন (Ramkrishna Mission) সহ ৩২ হাজারের বেশি মণ্ডপে সাড়ম্বরেই উদযাপিত হয় ষষ্ঠী পুজো। ছুটির দিন হওয়ায় পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে অধিকাংশ মন্দিরেই সিসি ক্যামেরার (CCTV Camera) নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি মণ্ডপে প্রবেশের মুখে মেটাল ডিক্টেটরের (Metal Ditector) ব্যবস্থা করেছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ (Bangladesh Puja Udjapan Parishad) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দেশজুড়ে ৫০টি পুজো বেড়েছে। রাজধানী ঢাকায় ২৪১টি মণ্ডপে দেবীর পুজো হচ্ছে। সিলেট বিভাগে মোট ২ হাজার ৭৪১টি মণ্ডপে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ১৫৭টি পুজো বেড়েছে। রাজশাহী জেলায় এ বছর ৪৫০টি মণ্ডপে দুর্গাপুজো উদযাপন হচ্ছে। তার মধ্যে শহরেই ৭৬টি পুজো হচ্ছে। গত বছর বিভিন্ন মণ্ডপে হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে অধিকাংশ পুজো কমিটির পক্ষ থেকে মাইক না ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর একাধিক বিধিনিষেধ থাকায় প্রাণের উ‍ৎসবে মন খুলে আনন্দে মাততে পারেননি হিন্দুরা। পুজোর আনন্দ কিছুটা ফিকে হয়েছিল। এবার অবশ্য  উৎসবের চেনা রঙ ফিরেছে। ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ‘করোনার কারণে দুই বছর খুবই সীমিত আকারে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। দুই বছর পর এবার অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে উৎসব পালন করা হচ্ছে।’