নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ঢাকার পথ-ঘাট এখন বেহাল দশা। সৌজন্যে রাজনৈতিক সভা, সমাবেশের পাশাপাশি হরতাল-অবরোধ। হ্যাঁ, কিছুদিন ধরেই দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। আর সেই কারণেই দেশের কোথাও গাড়ি পোড়ানো, সহিংসতা-সহ একাধিক খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বিনোদন শিল্পী সকলেই। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছেন।
শনিবার সকালে ঢাকার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে শিল্পীসমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দেশে আগুন-সন্ত্রাস বন্ধ হোক। এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি, এবং অভিনেতা ফেরদৌসও। ‘ধ্বংসের বিরুদ্ধে শিল্পীসমাজ’ স্লোগান দিয়ে শিল্পীরা বলেছেন, ‘জনগণের পেটে লাথি মেরে কখনই জনগণের জন্য কাজ করা যায় না। হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি জনগণের ক্ষতি করছে। যাঁরা নিম্নবিত্ত, তাঁদের তারা হত্যা করছে আগুন-সন্ত্রাসের মাধ্যমে। পুলিশ মারা যাচ্ছে, সাংবাদিক আহত হচ্ছেন। যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। নতুন প্রজন্মের কাছে নেতিবাচক রাজনীতিকে তুলে ধরছে। আমরা এটা চাই না।’
এদিন এর বিরুদ্ধে ঢাকার একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে ফেরদৌস বলেছেন, ‘হরতাল-অবরোধ অভিধান থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। সেই শব্দগুলো আবার ফিরে এসেছে। আমার বাচ্চারা যখন জিজ্ঞাসা করে, “আমরা শুক্র-শনিবার কেন পরীক্ষা দেব? রোববারে কেন অনলাইন ক্লাস করব?” এই শিশুরা বেড়ে উঠছে, এতে তারা কী শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠছে! অগ্নিসন্ত্রাস, বর্বরতা! এমনিতেই করোনার দুই বছর আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। একজন মানুষের সঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’ অন্যদিকে মাহিয়া মাহি বলেছেন, ‘আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি তার একমাত্র লক্ষ্য, যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করতে পারি এবং আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাঁকে জয়যুক্ত করতে পারি। আমরা শিল্পীরা সবাই নিজ নিজ জায়গায় থেকে যা যা করা দরকার, আমরা মাঠে থাকব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আমরা চাই না, বিএনপি আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করুক।’