নিজস্ব প্রতিনিধি: সবেমাত্র বাবা-মা হয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি শফিরুল রাজ এবং বিখ্যাত নায়িকা পরীমণি। গত বছর থেকেই নায়িকাকে ঘিরে চলেছে একাধিক চর্চা। তবে অভিনেতা রাজের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই যেন গোটা জীবন বদলে গিয়েছে পরীমণির। সদ্য পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন পরী, রাজ্যকে ঘিরেই যেন কেটে যাচ্ছে অভিনেত্রীর জীবন। কিছুদিন আগেই মা হওয়ার পর প্রথম জন্মদিন দারুণ ধুমধাম করে পালন করলেন নায়িকা। সঙ্গে একটি ডকুমেন্টারি শ্যুটের মাধ্যমে নিজেই জানালেন রাজের সঙ্গে তাঁর প্রেম কাহিনী। যাই হোক সবটাই ভালো চলছিল, কিন্তু এর মধ্যেই পরীর সংসারে বেজে গেল অশান্তির ঘনঘটা। কারণ তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ।
তবে সেলিব্রিটিদের জীবনে এই ব্যপারটা নতুন নয়। রাজকে নিয়ে পরী ভালো নেই, ইতিমধ্যেই সংসারে শুরু হয়েছে অশান্তি, সম্প্রতি তারই ইঙ্গিত দিলেন ফেসবুকে। দিন কয়েক আগেই মুক্তি পেয়েছে রাজ-বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত ‘দামাল’। আর এই ছবির একটি সংবাদ সম্মেলনে মিমের হাত ধরে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ। সেটা নিয়েই প্রথম স্ট্যাটাস দেন পরী, এরপর থেকেই রাজ-পরীর পারিবারিক অশান্তির নানা ইঙ্গিত সামনে আসে। গতকাল রাতে পরীমণি ‘দামাল’ ছবির পরিচালক রায়হান রাফী, নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম ও নায়ক শরিফুল রাজকে নিয়ে আবারও একটি স্ট্যাটাস দেন, যে স্ট্যাটাসে তাঁদের পুরোদমে সংসার ভাঙনের আভাস মিলেছে। রাত ২টো নাগাদ পরীমণি পরিচালক রাফিকে ট্যাগ করে ফেসবুকে লিখেন, ‘সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে দালালিটাও ভালো করেন দেখি!’ না এখানেই শেষ নয়, এরপর মিমকে ট্যাগ করে পরী লেখেন, ‘নিজের জামাইকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল।’ সবশেষে স্বামী রাজকে ট্যাগ করে নায়িকা লেখেন, ‘ব্যাপারটি এতদূর গড়াতে দেওয়া উচিত হয়নি তোমার।’ এদিকে বিদ্যা সিনহা মিমের সাফল্য এখন তুঙ্গে। কয়েক বছর পর অভিনয়ে ফিরে এসে বেশ রাজত্ব করছেন তিনি। তবে বৃহস্পতি মিমকে নিয়ে পরীমণি যে ক্ষোভ উগরালেন, তা নিয়ে মোটেও চুপ থাকেন নি মিমি।
বৃহস্পতিবার পরীর স্ট্যাটাসের উত্তর হিসেবে মিম বলেন, ”পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমার আকাশছোঁয়া সাফল্য আমাকে স্বার্থহীন ভালোবাসায় ভাসাচ্ছে। আমি আপ্লুত, অভিভূত। বলতে পারি, জীবনের সেরা সময় পার করছি। ঠিক এই সময়ে একটা পক্ষ আমার পথচলায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, আমাকে থামিয়ে দিতে, আমাকে জড়িয়ে নানা ধরণের কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। পরাণ’ ও ‘দামাল’ যে ভালোবাসা আমাকে দিচ্ছে, দেড় দশক আগে ঠিক একইরকম ভালোবাসায় সবাই আমাকে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার বানিয়েছে। সবার ভালোবাসাকে গুরু দায়িত্ব হিসেবে মেনে নিয়ে আমি আমার পেশাদার অভিনয়জীবন গড়ে তোলা চেষ্টা করেছি, করে যাচ্ছি, আগামীতেও করে যাব। আমি কাজ করছি বাংলাদেশে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। শিক্ষক বাবার আদর্শ ও মায়ের শেখানো সততাকে সঙ্গী করে দারুণ কিছু কাজ করার চেষ্টার মধ্য দিয়ে ভক্ত-শুভাকাঙ্খিসহ সবার মন জয়ের চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত। কখনোই নিজের পেশাদার জীবনের সঙ্গে এমন কিছু যুক্ত করতে দেইনি যা আমার পথচলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমি জানি আমার পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ কী, বেড়ে ওঠেছি কোন ধরণের পারিবারিক আবহে, আমার চারপাশটা কেমন– এখন যে বা যারা কোনো ধরণের প্রমাণ ছাড়াই আমাকে নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলছে, তাদের প্রতি নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। তবে এসবের বাড়াবাড়ি হলে আমি অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
