এই মুহূর্তে




চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে রণক্ষেত্র আদালত, নিহত আইনজীবী, চট্টগ্রাম-ঢাকায় মোতায়েন BGB




নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র তথা পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) উত্তাল হয়ে উঠল বাংলাদেশ। বিক্ষোভরত হিন্দুদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চট্টগ্রাম আদালত চত্বর  রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে একজন আইনজীবী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। তাদের মধ্যে শ্রীবাস দাশ, শারকু দাশ, ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল ও এনামুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ উত্তাল হতেই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে মোল্লা ‌ইউনূসের সরকার। দুই মহানগরে ১০ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করেছে।

শেখ হাসিনা জমানা পতনের পরেই বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। বিএনপি-জামায়াত ‌ইসলামীর মতো মূলধারার রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বেশ হিযবুত তাহরী, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে হিন্দুদের উপরে। বাড়ি-ঘর লুঠ করার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করা, মন্দির পুড়িয়ে ফেলা, কোনও কিছু বাকি থাকছে না। আর হিন্দুদের নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ইসকন সংগঠক তথা চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। যিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে চিন্ময় প্রভু হিসাবেই পরিচিত। গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম, রংপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর উদ্যোগেই বিশাল হিন্দু সমাবেশের আয়োজন হয়। তাতেই মাথা ঘুরে যায় মোল্‌লা মুহাম্‌মদ ইউনূস সরকারের। গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে তাঁকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার  করা হয়।

চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের খবরে ফুঁসে ওঠেন গোটা দেশের হিন্দুরা। রাতেই রাজপথে নামেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। অবিলম্বে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের মুক্তির দাবি জানান। সেই দাবি মানেনি মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। ‌এদিন বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন আর্জি খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুপুর ১২টার পরপরই  চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারী এবং আইনজীবীদের একাংশ। চিন্ময় প্রভুকে বহন করা প্রিজনভ্যান আটকে  স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান আটকে রাখা হয়। এর পরেই পুলিশ প্রধান বাহারুল ইসলাম চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন, বিক্ষোভকারীদের মেরে সরিয়ে দিতে। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরে  অ্যাকশনে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেধড়ক লাঠিচার্জের পাশাপাশি এলোপাথাড়ি কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে শুরু করে। এমনকি গুলি চালানোরও হুমকি দেয়। দুই পক্ষের  সংর্ঘষে রণক্ষেত্র পরিণত হয় আদালত চত্বর। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবী নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘দিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন’, ইউনূসের ডাকা বৈঠকে দাবি বিএনপি-জামায়াতের

বাবা হলেন মোস্তাফিজ, নিজেই পোস্টে জানালেন সুখবর!

মোল্লা ইউনূসের হিন্দু নিধন যজ্ঞকে আড়াল করতে আসরে নামলেন ‘মক্ষিরানী’ অপর্ণা

ভোটে কারচুপি করায় তিন বাংলাদেশিকে চরম শাস্তি দিল মার্কিন আদালত

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি, পাকিস্তানের কাছে F-16 যুদ্ধবিমান ভিক্ষা চাইলেন মোল্লা ইউনূস

নতুন স্টাইলে শাড়ি পরে চমকে দিলেন জয়া

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর