এই মুহূর্তে




ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষকদের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলাদেশ। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উপরে পুলিশের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা করল শিক্ষক সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে এ ঘোষণা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইস উদ্দিন। তাঁর কথায়,আমরা কারও বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি। কোনও ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। আমাদের অধিকার চাইতে, আমাদের দাবি আদায় করতে এসেছি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন চলবে। কোনও ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে না।’

গতকাল বুধবারই (১৪ মে)জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলন ঘিরে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ঢাকা। একাধিক দাবি-দাওয়ার ভিত্তিতে ‘যমুনা চলো’র (তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়) ডাক দিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু করেন শিক্ষক–পড়ুয়ারা। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিছিল কাঁকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছলে বাধা দেয় পুলিশ। সেই সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আচমকাই জানোয়ারের মতো নিরস্ত্র পড়ুয়া-শিক্ষকদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ। রমনা বিভাগের ডিসি তথা ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন নেতা মাসুদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা পড়ুয়া ও শিক্ষকদের রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি লাঠিপেটা শুরু করে। এমনকি মহিলা পড়ুয়াদের পোশাক ছিড়ে দিয়ে শ্লীললতাহানির চেষ্টা চালায়। তাতেও বিক্ষোভকারীরা না দমায় ছত্রভঙ্গ করতে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন। পুলিশের হামলায় শতাধিক ছাত্র-শিক্ষক-সাংবাদিক আহত হন।

ঘণ্টাখানেক পর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ কাঁকরাইলে যমুনামুখী সড়কে এসে অবস্থান নেন। সেখানে গিয়ে পড়ুয়াদের মেরে লাশ বানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন রমনার ডিসি মাসুদ আলম। যদিও তাতে পাত্তা না নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সংবাক্ষমাধ্যমকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু পুলিশ হিংস্র জানোয়ারের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার বুকে লাথি মারার পাশাপাশি লাঠি দিয়ে ঘাড়ে আঘাতও করেছে।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। সহকারী প্রক্টরকে পুলিশ মেরেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচরণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে সরব না।’ বুধবার সন্ধে থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি টানা চলছে। ক্রমশই বাড়ছে ভিড়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসাবে রাজাকার সন্তানকে নিয়োগ দিল ইউনূস সরকার

জেলের মধ্যেই ধর্ষিতা তরুণীকে বিয়ে, কত ‘দিনমোহর’ দিতে হল নোবেলকে?

ফের দুই হিন্দু আমলাকে চাকরি থেকে তাড়াল মোল্লা ইউনূস সরকার

আদালতের নির্দেশে জেলের মধ্যেই ধর্ষিতা তরুণীকে বিয়ে করলেন গায়ক নোবেল

বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি, ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর স্বামীর

নাঈমের বলে ফিরলেন চান্দিমাল, রক্ষা নিশাঙ্কার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ