28ºc, Haze
Friday, 24th March, 2023 8:46 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শনিবার ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। ঢাকার মিরপুরে টেলিফিল্মের শুটিং চলাকালীন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেত্রী। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। গতকালই জানা গিয়েছিল, দুর্ঘটনায় অভিনেত্রীর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁর শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আঁখির স্বামী পরিচালক রাহাত কবির বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিং চলছিল অভিনেত্রীর। এরপর মেকআপ রুমে থাকাকালীন এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনার কারণ প্রসঙ্গে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাথরুমে সিগারেট ধরানোর কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে।
আবার বডি স্প্রে ব্যবহার করার গ্যাস থেকেও বিস্ফোরণটি ঘটতে পারে। বিস্ফোরণে বাধরুমের দরজা ভেঙে আঁখি চিৎকার করে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে তাঁর দুই হাত, পা ও কপালের একাংশ, চুলসহ ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গতকালের পাওয়া খবর অনুযায়ী, অভিনেত্রীর শ্বাসনালী পোড়া বেরিয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, শারমিন আঁখির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, শারমিন আঁখির শ্বাসনালীসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে তার ইনহালেশন বার্নে রয়েছে। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে।
অভিনেত্রীর স্বামীর কথায়, দুর্ঘটনার সময় আঁখির পরনে সিনথেটিক কাপড় ছিল। তারপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়। এদিকে অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা পরীমণি। এই মুহুর্তে আঁখির চিকিৎসার জন্যে চার বোতল B+ রক্ত লাগবে। একথা পরীমণি নিজেই জানালেন। সবার যাতে চোখে পড়ে সে কারণে নিজের সামাজিক পাতায় পরী লিখেছেন, ‘জরুরি B+ রক্ত প্রয়োজন।’ এমনকি আগামিকাল সকালের মধ্যে ৪ ব্যাগ B+ রক্তের জন্যে অনুরোধ করলেন নায়িকা। নায়িকার এই ভূমিকায় আপ্লুত অনুরাীগরা। হাসপাতাল থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, প্রায় এক মাস থাকতে হবে আঁখিকে হাসপাতালে। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তাঁর কমবেশি এক বছর সময় লাগবে।