নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেই খুলে দেওয়া হচ্ছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা। তবে এক মাস বাদে দরজা খুললেও সব পড়ুয়াদের ক্লাসে হাজিরার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। যারা করোনা টিকার দুই ডোজ নিয়েছে, তারাই সশরীরে ক্লাস করতে পারবে। বাকিদের অনলাইনে ক্লাস চলবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে দুই সপ্তাহ পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
দেশে গত বছরের শেষের দিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরেই পড়ুয়াদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের অনেকটা উন্নতি হয়। ফলে ফের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার দাবি তোলেন অভিভাবক থেকে শিক্ষকরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা খোলার ক্ষেত্রে আপত্তি নেই।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক। এদিন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, ‘করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করার পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলে স্কুল-কলেজ ও বিস্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে করোনার সম্পূর্ণ ডোজ ছাড়া কাউকে সশরীরে ক্লাস করার সুযোগ দেওয়া হবে না। কেননা, এখনও পর্যন্ত ১২ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের এক কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে এক কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রথম ডোজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা হবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে পঠনপাঠন হবে। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় পঠনপাঠন থমকে গিয়েছিল। ক্লাসের সংখ্যা বাড়িয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করা হবে।‘
