-273ºc,
Saturday, 3rd June, 2023 3:28 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রিল নয়। রিয়েল। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ব্যস্ত রাস্তায় পথচারী এক মহিলাকে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেড় কিলোমিটার টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল একটি প্রাইভেট কার। শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা পিছু তাড়া করে ওই গাড়িটিকে থামায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাপা পড়া পথচারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক গাড়ির চালককে নামিয়ে গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনিও হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন বেলা তিনটে নাগাদ তেজগাঁও থেকে বৌদি রুবিনা আক্তারকে নিয়ে হাজারীবাগের বাড়িতে ফিরছিলেন। শাহবাগ মোড়ের কাছে একটি প্রাইভেট কার পিছন থেকে মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। ধাক্কায় ছিটকে পড়ে প্রাইভেট কারের সামনে থাকা বাম্পারের সঙ্গে আটকে যান। চালক গাড়ি না থামিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকেন। গাড়ির নিচে আটকে থাকা রুবিনাকে নিয়েই টিএসসি থেকে বেপরোয়া গতিতে নীলক্ষেতের দিকে যান চালক। প্রকাশ্য দিবালোকে ওই লোমহর্ষক দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে যান পথচলতি সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়া ও পথচারীরা তাড়া করে নীলক্ষেতের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ থেকে পলাশী অভিমুখী সড়কের মুখে গাড়িটি থামাতে সফল হয়। রুবিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি গাড়ির চালককে নামিয়ে গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত পথচারী রুবিনা আক্তার এক বছর আগেই স্বামীকে হারিয়েছেন। এক সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। আর ঘাতক গাড়িটি যিনি চালাচ্ছিলেন সেই মোহাম্মদ আজহার জাফর শাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ২০১৮ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।