নিজস্ব প্রতিনিধি: দীপান্বিতা অমাবস্যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হচ্ছে কালীপুজো। চলছে মায়ের আরাধনা। বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র থেকে কালীবাড়ি কিংবা জাগ্রত মন্দিরে চলছে মায়ের পুজো। তেমনই ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পীঠ হল বীরভূমের নলহাটির নলাটেশ্বরী মন্দির। কথিত আছে এখানে দেবী পার্বতীর গলার নলি পড়েছিল। তাই এখানে নাম হয়েছে নলাটেশ্বরী। কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে স্মরনাথ শর্মা নামে এক সাধক স্বপ্নাদেশ পান। সেই স্বপ্নাদেশেই দেবী নলাটেশ্বরীর দেখা পেয়ে তিনি জানতে পারেন, নলহাটিতে ছোট্ট জঙ্গল ঘেরা এক অনুচ্চ টিলার এক প্রান্তে সতীর খণ্ডিত দেহাংশ, শিলারূপে অবস্থান করছে। তারপর সাধক স্মরনাথ এই জায়গা আবিষ্কার করে দেবীর নিত্যপুজার ব্যবস্থা ও মাহাত্ম্য প্রচার করেন।
কালীপুজোর দিন, দিনের আলো ফোটার আগেই মূল মন্দিরে দেবীর মহাস্নান সম্পন্ন হয়। তারপর মঙ্গলারতি করে দিনের শুরু। তখন থেকেই ভক্তদের জন্য খুলে যায় মন্দিরের দরজা। রাতে মন্দির প্রাঙ্গনে ১০৮ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে মায়ের বিশেষ আরতি হয়। মূল মন্দিরে শীলারূপী অবস্থান করছেন মা নলাটেশ্বরী। জানা যায়, সাধক স্মরনাথ শর্মা স্বপ্নাদেশের মাধ্যমে আবিস্কার করলেও পরে নাটোরের রানি ভবানী এই মন্দির তৈরি করেন। অনেকে আবার বলেন সাধক স্মরনাথ নন ২৫২ বঙ্গাব্দে এই মন্দির আবিস্কার করেন ব্রহ্মচারী কামদেব। তিনিও স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই পীঠস্থানের হদিশ পান।
জানা যায়, ভৈরব মন্দির প্রতিষ্ঠাপনের সময় মাটির নীচ থেকে উঠে এসেছিল শ্রীবিষ্ণুর পদচিহ্ন আঁকা শিলাখণ্ড! আজও দেবী ও ভৈরবের আগে প্রতিদিন এই শিলাখণ্ডের পুজো হয়। অর্থাৎ নলাটেশ্বরী মন্দিরে শক্তি পুজোর সঙ্গে বৈষ্ণব ধর্মের রীতিতেও পুজো হয়। মূল মন্দিরের পাশে রয়েছে সিদ্ধিদাতা গণেশের মূর্তি। করোনার আবহের মাঝেই ভক্ত সমাগম হয়েছেন এই মন্দিরে। চলছে পুজো।