নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রথম দফার পরে দ্বিতীয় দফার ভোট ঘিরেও ভোটারদের তেমন উৎসাহ নজরে পড়ল না। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ। যদিও শেষ পর্যন্ত কত শতাংশ ভোট পড়ল তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামিকাল শনিবার পর্যন্ত। কিন্তু ভোট দান যে গতবারের হারকে টপকাতে পারছে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। কেননা, ২০১৯ সালে ভোট পড়েছিল ৬৯.৪৩ শতাংশ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, অস্বাভাবিক হারে কম ভোট শাসকদল বিজেপি নেতৃত্বের জন্য অশনিসঙ্কেত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজস্থানের বিজেপি নেতা গজেন্দ্র শেখাওয়াতও ভোটের হার কম হওয়াকে উদ্বেগজনক বলেছেন।
শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। গতবারের ফলাফলের নিরিখে এদিন যে সব আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে তার সিংহভাগই বিজেপির গড় হিসাবে পরিচিত। অথচ উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং বিহারের মতো এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলিতে ভোট পড়ার হার মোটেও সন্তোষজনক নয়। পাঁচ রাজ্যের ৩৯ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ ৫৪.৮৩ শতাংশ, রাজস্থানে ৫৯.১৯ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫২.৬৪ শতাংশ, বিহারে ৫৩.০৩ শতাংশ ও মহারাষ্ট্রে ৫৩.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ত্রিপুরায় ৭৬.২৩ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গে ৭১.৮৪ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৭২.১৩ শতাংশ এবং মণিপুরে ৭৬.০৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ওই চার রাজ্যে মাত্র আটটি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে।
এদিন কর্নাটকের ১৫ এবং কেরলের ২০ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। ওই দুই রাজ্যে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৪.৫৭ শতাংশ এবং ৬৫.০৪ শতাংশ। অসমের ৫ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। উত্তর পূর্বের রাজ্যটিতে ভোট পড়েছে ৭০.৬৮ শতাংশ। প্রবীণ ভোট কর্মীরা জানাচ্ছেন, আগে সকালে এবং ভোটের শেষ লগ্নে ভোটারদের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু এবার সকালের দিকে লম্বা লাইন থাকলেও বিকেলের দিকে বুথমুখো হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। লোকসভা নির্বাচন শুরুর মুখে দলের পান্না প্রমুখদের এক সম্মেলনে যাতে ৭৫ শতাংশ ভোটার ভোটমুখো হন, সেই চেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি বিজেপি নেতারা শ্লোগানও তুলেছিলেন, ‘পহেলে ভোটদান, বাদ মে জলপান।’ কিন্তু প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও প্রমাণ মিলেছে বিজেপি নেতাদের ওই শ্লোগান আম জনতাকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারেনি।