নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) জীবন যাপন ও কর্ম আজও প্রেরণা দেয় মানুষকে। জাতপাতের উর্ধ্বে উঠে মানুষকে আপন করে নেওয়ার মন্ত্র তিনি দেশের সীমা অতিক্রম করে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে দিয়েছেন। জাত ও বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে যেমন তিনি ভালবাসতেন, তেমনই খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারেও তিনি ছিলেন বাছ-বিচারহীন, ভীষণ ভোজনসসিক। এই প্রতিবেদন স্বামীজির পছন্দের খাবার নিয়ে।
স্বামী বিবেকানন্দ কী খেতে পছন্দ করতেন? বিবেকানন্দ গবেষক তথা লেখক শংকরের লেখা থেকে জানা যায়, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে রান্না হতো পাঁঠার ঘিলু দিয়ে মটরশুঁটির তরকারি। আর সেই তরকারি দিয়ে রুটি খেতেন স্বামীজী। স্বামী বিবেকানন্দের ভাই মহেন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছেন, ‘তখন কলকাতায় পাঁঠার মুড়ি বিক্রি হত না, আমরা পাঁঠাওয়ালাদের সঙ্গে বন্দোবস্ত করেছিলাম যে, তার দোকানে যে কটা মুড়ি থাকবে, আমাদের জন্যে রেখে দেবে। …দশ বারোটা পাঁঠার মুড়ি, সের দুই আরাই ওলন্দ কড়াইশুঁটি, একসঙ্গে ফুটিয়ে একটা তরকারি হত। বিকেলবেলা স্বামীজি আর আমি স্কুল থেকে এসে, আমরা দু’জন ওই কড়াইশুঁটি দেওয়া ব্রেনের তরকারি দিয়ে, খান-ষোলো করে রুটি খেতুম।’ স্বামী বিবেকানন্দ মাছ খেতেও পছন্দ করতেন। মাছ ও মাংসের বিভিন্ন পদ ছিল তাঁর প্রিয়। পাশাপাশি তিনি পছন্দ করতেন কচুরি, আলুর তরকারি।
স্বামী বিবেকানন্দের মামার বাড়ির লোকজন ছিলেন প্রবল বৈষ্ণব। নিরামিষ খাওয়ার চল তো ছিল, এমনকি রোজ গোবর তুলসী খাওয়ার রেওয়াজ ছিল সেখানে। কিন্তু একেবারে ভিন্ন ছবি ছিল বিবেকানন্দের বাড়িতে। তাঁর পিতা বিশ্বনাথ দত্তও ছিলেন ভোজনরসিক। তিনি আমিষ নিরামিষ সব ধরণের খাবারের পদ পছন্দ করতেন। জানা যায়, বিশ্বনাথ দত্ত মাঝে মাঝে বাড়িতে বাবুর্চি আনিয়ে মোগলাই খাবার তৈরি করাতেন।