নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় যোগগুরু রামদেবকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে,’সংবাদমাধ্যমে তো বড় বড় করে সংস্থার বিজ্ঞাপন দিতেন। সেইভাবে কি ক্ষমা চেয়েছেন?’ এরপরেই রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
বর্তমানে পতঞ্জলির বিভ্রান্তিরকর বিজ্ঞাপন মামলা লড়ছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। এদিন পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা রামদেব এবং বালকৃষ্ণের আইনজীবী আদালতে জানান, ৬৭ টি সংবাদমাধ্যমে ১০ লাখ টাকা খরচ করে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। এরপরেই প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ। প্রশ্ন করেন, ‘ক্ষমাপ্রার্থনা কি স্পষ্টভাবে করা হয়েছে? যেভাবে সংবাদমাধ্যমের পাতায় বড় বড় করে বিজ্ঞাপন দিতেন, ততটা বিশাল জায়গা জুড়ে ক্ষমা চেয়েছেন ?’ তখনই মুকুল রোহাতগি আদালতে জানান, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে লাখ লাখ টাকা সংস্থার ক্ষতি হবে।
উল্লেখ্য, এদিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রামদেব। আগামী দিনে এমন ভুল হবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবে শীর্ষ আদালত রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা নাকচ করে দেয়। অন্যদিকে পতঞ্জলির অপপ্রচারের অভিযোগ এনে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। অভিযোগ ছিল, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই রামদেবের পতঞ্জলি আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল। এদিন ছিল এই মামলার শুনানি। আগামী ৩০ এপ্রিল সুপ্রিম করতে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।