নিজস্ব প্রতিনিধি, কানপুর: ধর্ষণে বাধা। শাস্তি দশতলা থেকে তরুণীকে ধাক্কা মেরে ফেল দিল বাহুবলী।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কানপুর। তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। সম্পর্কে এরা বাবা ছেলে।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বছর উনিশের ওই তরুণীকে কানপুরের এক ধনী ব্যবসায়ী তাঁর প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ করে। বাড়িতে থাকত বাবা এস কে বৈশ এবং ছেলে প্রতীক। প্রতীক বিবাহবিচ্ছিন্ন। গত মঙ্গলবার ওই তরুণী প্রতীকদের বাড়িতে যায়। জানা গিয়েছে, বাড়িতে সেই সময় প্রতীক একাই ছিল। বছর ১৯য়ের তরুণীকে সে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তরুণী বাধা দিলে প্রতীক তাকে দশ তলার ব্যালকনি থেকে ধাক্কা মারে। মাথা থেঁতলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।
ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে প্রতীক জানায়, ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছে। প্রতীকের বয়ানে তরুণীর পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় তারা প্রতীকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। ময়নাতদন্তে তরুণীর যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এছাড়াও হাতে-পায়ে-বুকে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার প্রমাণ মেলে।
পুলিশ কমিশনার অসীম অরুণ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে যুবক। তরুণী বাধা দিলে শুরু হয় নির্যাতন। তাতেও ওই তরুণী হার না মানলে ওই যুবক তাকে দশ তলা বাড়ির ব্যালকনি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর উনিশের ওই তরুণীর। তরুণীর পরিবার এবং আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রতীক নামে ওই যুবক এবং তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করেছে।