এই মুহূর্তে




ধোঁকা! ‘পণ্ডিতজি ধাবা’ নাম দিয়ে ব্যবসা চালানোয় মুসলিম মালিকের বিরুদ্ধে মামলা




নিজস্ব প্রতিনিধি, মুজফফরনগর: সম্প্রতি শিরোনামে এসেছে পণ্ডিতজি বৈষ্ণো ধাবা। মুজাফফরনগরে অবস্থিত এই ধাবায় ঢুকে পরিচয় যাচাইয়ের বিষয়টি ক্রমেই রাজনৈতিক হয়ে উঠছে। স্বামী যশবীর মহারাজের দলের লোকজনকে এই মর্মে সিবিআই নোটিশ পাঠানোর পর, এখন পুলিশ পণ্ডিতজি বৈষ্ণো ধাবার মালিক সানোয়ার, তার ছেলে আদিল, জুবায়ের এবং আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ধাবার প্রাক্তন ম্যানেজার ধর্মেন্দ্রকে মারধরের। প্রাক্তন ম্যানেজারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছে মামলা। অভিযোগ, ধর্মেন্দ্রকে মারধর করার কারণ তিনি নিজের হিন্দু নাম বলেছিলেন এবং প্রকাশ করেছিছিলেন যে হিন্দু নামের ধাবাটি পরিচালনা করছেন একজন মুসলিম।

নিউ মান্ডি থানার ইনচার্জ দীনেশ চাঁদ ভাগল জানিয়েছেন যে স্বামী যশবীর মহারাজের দলের সঙ্গে যুক্ত ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের মধ্যে হাজিরা দিতে হবে। এরা জেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যাতীত কানওয়ার যাত্রা রুটে ধাবার মালিকদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছিল।

দীনেশ চাঁদ ভাগল আরও জানিয়েছেন যে, ভিডিওতে দেখা অন্য ব্যক্তিদেরও নোটিশ পাঠানো হতে পারে। পুলিশ বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখছে। যে ৬ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে তারা হল সুমিত বাহরাগি, রোহিত বিবেক, সুমিত, সানি এবং রাকেশ। এরা সকলেই বাঘড়ায় স্বামী যশবীরের আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত। পন্ডিতজি বৈষ্ণো ধাবার একজন কর্মচারীর দাবি স্বামী যশবীরজি মহারাজের দলের একজন তাঁদের পরিচয় জানার জন্য প্যান্ট খোলানোরও চেষ্টা করেছিল। তবে যশবীর মহারাজ নিজে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয়দের মতে রবিবার স্বামী যশবীর কানওয়ার যাত্রা রুটে অবস্থিত খাবারের  দোকানগুলির মালিকদের পরিচয় যাচাই করার জন্য একটি অভিযান শুরু করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এটি প্রয়োজনীয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি আদেশ জারি করেছিল। তাতে বলা হয়েছহিল যাত্রা পথে থাকা সব খাবারের দোকানগুলিতে মালিক, ওপারেটর এবং ম্যানেরজারের নাম ও ঠিকানা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। উত্তরাখণ্ড সরকারও চলতি বছর কানওয়ার যাত্রার পথে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলিকে খাদ্য লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রকাশ্যে দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে বিজেপি ও বিরোধীরা ফের একবার সম্মুখ সমরে মেতেছে।

সরকারের এই পদক্ষেপকে নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এস ডি হাসান। তিনি বলেছেন ভারতের মতো ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে এই আচরণ লজ্জাজনক। এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও এই ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, “মুজাফফরনগর বাইপাসের ধারে বছরের পর বছর ধরে অনেক হোটেল চলছে। কানওয়ার যাত্রা কি এই প্রথম শুরু হয়েছে? আগেও শান্তিপূর্ণভাবে যাত্রা হয়েছে। কিন্তু এখন তাহলে কেন এসব ঘটছে? হোটেল মালিকদের আধার কার্ড চাওয়া হচ্ছে, দোকানদারদের প্যান্ট খুলতে বলা হচ্ছে। পুলিশের কাজ হল যারা দোকানদারদের হয়রানি করছে তাদের গ্রেফতার করা। কিন্তু এখানে প্রশাসন নিজের একটি নাটক তৈরি করে রেখেছে।”

তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও অমান্য করা হচ্ছে। কেউ কীভাবে হোটেলে ঢুকে মালিককে তাঁর ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারে? এটা অত্যন্ত অন্যায়। সরকার এই বিষয়ে নীরব।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাথার দাম ছিল প্রায় দেড় কোটি, সুকমায় আত্মসমর্পণ ২৩ জন মাওবাদীর

বিমান দুর্ঘটনায় বদ্ধপরিকর ছিলেন পাইলট, দাবি বিমান বিশেষজ্ঞের

বিরল শাস্তি! ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে ধর্ষককে পুরুষত্বহীন করার নির্দেশ আদালতের

‘শুখা’ বিহারে মদ খেয়ে মন্ত্রীর পাশে সরকারি আধিকারিক, গ্রেফতারের পর ওষুধ খাওয়ার যুক্তি

বৃষ্টিতে ডুবল রেললাইন, চালকের বুদ্ধিতে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ট্রেন

কী কাণ্ড! ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা হুমকি দিলেন মা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ