নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: চিন, জাপান, আমেরিকা সহ একাধিক দেশে ফের বেলাগাম হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। মারণ ভাইরাসের নতুন ঢেউ ফের বিশ্বকে তছনছ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর জন্য মঙ্গলবার রাজ্য সরকারগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলে দেশে মারণ ভাইরাসের নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট আক্রমণ চালিয়েছে কিনা, তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
গত কয়েকদিন ধরে করোনার আঁতুরঘর চিনে নতুন করে দাপট দেখাতে শুরু করেছে প্রাণঘাতী ভাইরাস। গত ২৪ ঘন্টায় শি চিনফিংয়ের দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭২২ জন। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন পাঁচ জন। অথচ সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৯৯৫ জন। প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ জন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাসে জানিয়েছেন কোভিড বিধি শিথিল করার জন্য চিনে করোনার নতুন তাণ্ডবে ২০ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ যেতে পারে।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জাপান, আমেরিকা, চিন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যেভাবে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে তা যথেষ্ট শঙ্কার। ফলে দেশে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট হানা দিয়েছে তা জানতে করোনা আক্রান্তদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপরে জোর দেওয়া অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে ৫০টি ল্যাবরেটরিতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সুবিধা রয়েছে। ওই ল্যাবরেটরিতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য বেশি করে নমুনা পাঠাতে বলা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় এসেছে।’