নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: একজন শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজির হয়েছিলেন সিপিমের দলীয় সম্মলনে। আর দ্বিতীয়জল দলবিরোধী কথা বলেছিলেন। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব দুইয়ের বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিশ পাঠিয়েছে। শো-কজ নোটিশে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
সম্প্রতি কান্নুরে সিপিএম একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে। সভার বিষয় ছিল কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক। দক্ষিণ ভারতে রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘকাল যুক্ত থাকার দৌলতে রাজ্য বাম নেতৃত্ব কংগ্রেস নেতা কেভি টমাসকে আমন্ত্রণ জানায়। টমাস ছাড়াও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল শশী থারুরকেও। রাজ্য প্রদেশ নেতৃত্বের কানে যায় দুজনকে আমন্ত্রণ করার খবর। টমাস ও থারুরকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা যেন বামেদের ডাকা সম্মেলনে কোনওভাবে হাজির না হয়।
রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ থারুর অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেও উল্টোপথে হেটে সিপিএমের ডাকা পার্টি সম্মেলনে যোগ দেন কেভি টমাস। তাঁর এই ‘বিদ্রোহী’ মনোভাবে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয় প্রদেশ কংগ্রেস এবং দিল্লি কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে টমাসের ব্যাপারে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
সোমবার কংগ্রেস হাইকম্যান্ড টমাসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরায়। নোটিশে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে। নোটিশ পাঠিয়েছে একে অ্যান্টনির নেতৃত্বে গঠিত শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। অন্যদিকে, পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রাক্তন সভাপতি সুনীল জাখর দলবিরোধী কথা বলায় শৃঙ্খলারক্ষ কমিটি তাঁকেও নোটিশ পাঠিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, সুনীল জাখর প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলরাম জাখরের পুত্র।