নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার সকালেই নক্ষত্রলোকে পাড়ি দিয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী। চিরতরের জন্য থেমে গিয়েছে কিন্নরকণ্ঠের সুর। আর কোনওদিন গেয়ে উঠবেন না, ‘অ্যা মেরে ওয়াতান কে লোগো’, ‘হামকে হামিসে চুরালো,’-এর মত গান। করোনা ও নিউমোনিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষ লতার। মুম্বই-এর ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ‘ভারতরত্ন’ লতা। শনিবার রাত থেকেই লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। সেই কারণেই ফের ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয় লতা মঙ্গেশকরকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না, রবিবার সকাল ৮.১২ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ২৮ দিনের বেশি দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। মাল্টিঅর্গ্যান ফেলিওরের জন্যই মৃত্যু হয়েছে কিন্নরকণ্ঠি’র, জানিয়েছে ব্রিচক্যান্ডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই হাসপাতালেই দুপুর ১২.৩০ পর্যন্ত শায়িত থাকবে লতা মঙ্গেশকরের মরদেহ। তারপরেই ব্রিচক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে গায়িকার বাড়ির উদ্দেশ্যে কড়া নিরাপত্তা সহ নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। মুম্বইয়ের ব্রিচক্যান্ডি হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া রয়েছে। প্রতিটি পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। জানা গিয়েছে, দুপুর ১২.৩০ থেকে মুম্বইয়ের প্রভুকুঞ্জের বাড়িতে ভক্তদের জন্য শায়িত থাকবে লতার মরদেহ। সেখানেই ভক্তরা সুরসম্রাজ্ঞীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরেই সন্ধ্যা ৬.৩০ নাগাদ মুম্বইয়ের শিবাজী পার্কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে লতা মঙ্গেশকরের।