নিজস্ব প্রতিনিধি: সরস্বতী পুজো মিটতেই দেশের কাছে শোকের ছায়া। ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন কিন্নরকণ্ঠী। করোনা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মুম্বই-য়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। কখনও চড়াই ও কখনও উতরাই, এই নিয়েই লতার শারীরিক অসুস্থতা বজায় ছিল। লড়াই চালিয়েছিলেন কিন্তু শেষরক্ষা হল না। রবিবার সরস্বতী পুজোর বিসর্জনের আগেই জীবন্ত বীণাপানির প্রয়াণে শোকের ছায়া গোটা দেশে। আর ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকস্তদ্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি টুইটে শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘আমি আমার ব্যথার কথা বলে প্রকাশ করতে পারব না। দয়ালু এবং যত্নশীল লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি আমাদের দেশে একটি শূন্যতা রেখে গেলেন যা পূরণ করা যাবে না। ভবিষ্যত প্রজন্ম তাঁকে ভারতীয় সংস্কৃতির একজন অকুতোভয় হিসেবে মনে রাখবে। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার এক অতুলনীয় ক্ষমতা ছিল।’ মোদি আরও লিখেছেন, ‘লতা দিদির গান বিভিন্ন ধরনের আবেগকে প্রকাশ করেছে। তিনি কয়েক দশক ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের পরিবর্তন ঘনিষ্ঠভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। চলচ্চিত্রের বাইরে তিনি সর্বদা ভারতের বৃদ্ধি সম্পর্কে উত্সাহী ছিলেন। তিনি সবসময় একটি শক্তিশালী ও উন্নত ভারত দেখতে চেয়েছিলেন। আমি লতা দিদির কাছ থেকে সবসময় অগাধ স্নেহ পেয়ে এসেছি। এটাকে আমি আমার সম্মান বলে মনে করি। তাঁর সাথে আমার আলাপচারিতা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। লতা দিদির প্রয়াণে আমি আমার সহ নাগরিকদের সাথে শোকাহত। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সমবেদনা জানিয়েছেন। ওম শান্তি।’
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে দেশে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের জন্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।