নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের প্রচারে রবিবার রাজস্থানে গিয়ে সরাসরি ধর্মীয় বিষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। মুসলিমদের নিশানা করে বিতর্কিত মন্তব্য করে নয়া বিতর্ক তৈরি করেছেন। রাজস্থানের সভায় মোদি নির্বাচনী আচরণ বিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও ‘প্রভু’র ওই মন্তব্য নিয়ে মুখে কুলুপ ‘বিজেপি বান্ধব’ হিসাবে পরিচিত নির্বাচন কমিশনের। সোমবার নির্বাচন কমিশনের কাছে মোদির মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। ‘নির্বিকল্প সমাধি’তে থাকা কমিশনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাবেন না।’
গতকাল রবিবার রাজস্থানের বানসওয়াড়ার সভায় মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলি করে দেবে। পারিবারিক সোনা-রুপার সঙ্গে বিবাহিত নারীদের গলায় পরা পবিত্র মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত কেড়ে নিয়ে বিলিয়ে দেবে।’ তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, প্রথম দফার ভোটে গতবারের চেয়েও কম আসনে জিতবে বিজেপি তথা এনডিএ জোট। ৩৭০ পার হওয়ার স্বপ্ন অলীক হয়ে যাবে বিজেপির কাছে। প্রথম দফায় যেভাবে ভোট হয়েছে পরবর্তী দফাগুলিতে সেই ভাবে ভোট হলে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে ‘বিশ্বগুরু’ হওয়ার স্বপ্ন দেখা নরেন্দ্র মোদিকে।
রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। অভিযোগ উঠেছে, চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরে মোদির দয়ায় পদ মেলায় প্রতিদান মেটানোর পথে হাঁটছেন নির্বাচন কমিশনের তিন শীর্ষ কর্তা। গেরুয়া শিবিরের নির্দেশে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির পুলিশ আধিকারিক ও আমলাদের ছলছুতোয় বদলি করে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বিরোধী নেতাদের হেলিকপ্টারে বিশেষ তল্লাশি চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।