নিজস্ব প্রতিনিধি: শীতের দুপুরে দেশের রাজধানীর বুকে শুরু হল বিজেপি বিরোধী মহাজোট INDIA’র চতুর্থ জোট বৈঠক। লক্ষ্য ২৪’র ভোটে যতটা সম্ভব আসন বন্টনের রফা করে নেওয়া। দিল্লির অশোকা হোটেলে এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে হাজির হয়েছেন কংগ্রেসের তরফে সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi) ও মল্লিকার্জুন খাড়্গে, তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আরজেডির তরফে লালু প্রসাদ যাদন এবং তেজস্বী যাদব, এনসিপি’র তরফে শরদ পাওয়ার ও সুপ্রিয়া সুলে, ডিএমকে’র এম কে স্ট্যালিন ও কানিমোঝি সহ সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ সিং যাদব, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রমুখ। দেখা যাচ্ছে রাহুলের একপাশে বসেছেন মমতা ও অপর পাশে সিপিআই(এম)’র সাধারন সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি(Sitaram Yehchuri)। কিন্তু তারপরেও অনেকেই মনে করছেন বাংলায়(Bengal) মমতার সঙ্গে বামেদের দূরত্ব রয়েই যাবে। তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের সমঝোতা কার্যত অসম্ভব।
এদিন INDIA জোটের বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয়ই হল কোন পথে আসন বন্টনের সূত্র বার হয়ে আসবে। তৃণমূল সূত্রে আগেই জান গিয়েছিল, কংগ্রেস ও বামেরা বাদে জোটের সব শরিক দলই মমতার সূত্র মেনে নিতে রাজী আছে। আর এই সূত্র হল – যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী তাঁরাও সেখানে জোটের নেতৃত্ব দেবে এবং অপর জোট শরিককে কটা আসন ছাড়া হবে বা কোন কোন আসন ছাড়া হবে সেটা ঠিক করে দেবে। যদিও সংশয় থাকছে কংগ্রেস এই সূত্রে আদৌ মানবে কিনা। যদিও ৩ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে কংগ্রেস এখন আর মোটেও দর কষাকষির জায়গায় নেই। তবে বামেরা কখনই মমতার এই সূত্রে রাজী হবে না। বাংলার বুকেই বামেরা রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে। যদি তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের এ রাজ্যে কোনও আসন রফা না হয় তাহলে কংগ্রেসকে নিজেদের দিকে টানতে পারে বামেরা।
মমতা আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন, রাজ্যে এখন কংগ্রেসের ১জন বিধায়কও না থাকলেও জোটের স্বার্থে তিনি কংগ্রেসকে বহরমপুর ও দক্ষিণ মালদা আসন ছেড়ে দিতে রাজী আছেন। ওই দুই আসনে তৃণমূল যেমন কোনও প্রার্থী দেবে না, তেমনি কংগ্রেসও রাজ্যের বাকি ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেবে না। মনে করা হচ্ছে এদিনের বৈঠকেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে যাবে। তবে যদি কোনও কারণে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট না হয় তাহলেও তৃণমূল INDIA জোটে থাকবে এবং এ রাজ্যে একক ভাবেই ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে। সেই প্রস্তুতি তৃণমূল আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে। তবে সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের কাছে এ রাজ্যের ২টি আসনও ধরে রাখার গ্যারান্টিও থাকবে না। আর এই কারণেই অনেকে মনে করছেন, কংগ্রেস হয়তো মমতার সূত্রে রাজী হতে বাধ্য হবে। উল্লেখ্য এদিনের বৈঠকে NDIA জোটের মোট ২৬টি দলের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন।