নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতে পালিয়ে এসেও শেষরক্ষা হল না। শেষমেশ দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন রবীন্দর সিং। চার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার এক সমুদ্র সৈকতে তোয়া কারডিংলে নামে এক তরুণীকে খুন করে রবীন্দর। তারপরই সে ভারতে পালিয়ে আসে। তার খোঁজে এক মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সে দেশের পুলিশ।
২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর কুইসল্যান্ডের ওয়াংটি সমুদ্র সৈকতে পোষ্য কুকুরকে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণ করছিলেন তোয়া কারডিংলে (২৪)। তখন তাঁকে খুন করে রবীন্দর। খুন হওয়ার দু’দিন পরে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ফেলে রেখেই ভারতে পালিয়ে আসে রবীন্দর। তোয়ার খোঁজ না পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন নিখোঁজ ডায়েরি করে। পরদিন তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তখনই রবীন্দরের নাম জানা যায়। রবীন্দরের খোঁজে গোটা অস্ট্রেলিয়া জুড়ে তল্লাশি চালায় সে দেশের পুলিশ। তার খোঁজে ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করে পুলিশ। যা কিনা এযাবৎ কালের মধ্যে সর্বাধিক। পরে জানা যায় আততায়ী ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। তখন ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ। গত বছর মার্চে রবীন্দরের খোঁজ দিতে অনুরোধ করে রিকি পন্টিংয়ের দেশে পুলিশ। গত বছর নভেম্বর মাসে সেই অনুরোধে সাড়া দেয় দিল্লি। এরপর রবীন্দরের খোঁজে এ দেশেও তল্লাশি শুরু হয়।
শেষমেশ দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, পঞ্জাবে আদি বাড়ি রবীন্দরের। সেখান থেকে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেয় সে। সেখানে একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীর কাজ নেয় রবীন্দর। তোয়া ছিল পেশায় ফার্মাসিস্ট। তবে কী কারণে এই খুন তা জানা যায়নি।