নিজস্ব প্রতিনিধি, দেরাদুন (উত্তরাখণ্ড): অসম্ভব বলে কোনও কিছুই হয় না। দরকার একটা আন্তরিক চেষ্টা এবং মানসিক দৃঢ়তার। এই দুই এক হলে অধরাকে ধরা যায়। যে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মোকাবিলা করা যায়। আর দাঁতে দাঁতে চাপ চেপে লড়ে গেলে জয় নিশ্চিত।
সেটা যে নিছক কথার কথা নয়, তা আরও একবার প্রমাণ করে দেখালেন বাবা দানিশ ল্যাঙ্গার। উত্তরাখণ্ড মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে ২৮৮জন সফল পরীক্ষার্তীর মধ্যে সেও ছিল। দানিশ পঙ্গুত্বের শিকার (Guillain Barre Syndrome বা GBS)।
ছোট থেকে ওর স্বপ্ন ছিল সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ রক্ষা করা। পরিবার ধরে নিয়েছিল ছেলে কোনওভাবেই তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু তাদের সেই আশঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণ করে পরীক্ষায় অসাধারণ ফল করেছে দানিশ। ছেলের ফলাফলে খুশি মা অঞ্জু। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দিয়ে মায়ের চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে আনন্দাশ্রু। অঞ্জুদেবী বলেন, ছোট থেকে দানিশ স্বপ্ন দেখত সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার। আমরা ওকে সেনাস্কুলে ভর্তি করতে চেয়েছিলাম। ঠাকুমা প্রবল আপত্তি তোলেন। কিন্তু সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করে দানিশেক আর্মিস্কুলে ভর্তি করাই। সেখান থেকে উত্তরাখণ্ড মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লডা়ই চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সাফল্য অর্জন করেছে। এর থেকে বড় আর কিছু হয় না। আর যাকে নিয়ে প্রতিবেদন, সে কী বলছে?
এই জয়ের পিছনে রয়েছে মেডিক্যাল সায়েন্স, কঠিন নিয়মাননুবর্তিতা আর রুটি জীবন।
আরও পড়ুন North Korea: ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত, এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী পদে কোনও মহিলা